সুপার ক্লাসিকো ব্রাজিলের
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:০৩:১১,অপরাহ্ন ১১ অক্টোবর ২০১৪
: এ ‘সুপার ক্লাসিকো’টা আর্জেন্টিনা সমর্থকেরা ভুলেই যেতে চাইবেন। ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনার ফুটবল দ্বৈরথের ১০০ বছর পূর্তি মোটেও স্মরণযোগ্য করে রাখতে পারলেন না লিওনেল মেসিরা। নেইমাররাই সফল। অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরে আর্জেন্টিনাকে ২-০ গোলে হারিয়ে দেওয়ার সুখস্মৃতি বহুদিন মনে থাকবে নেইমারের। ঠিক বিপরীত অবস্থা আর্জেন্টিনা অধিনায়কের।
এ জয়ে দুই দলের দ্বৈরথেও এল সমতা। ৯৬ ম্যাচে ব্রাজিলের জয় ৩৬ ম্যাচ, আর্জেন্টিনারও ৩৬। অবশ্য এ বেইজিংয়ের ‘বার্ডস নেস্টে’ স্টেডিয়ামেই ২০০৮ সালে অলিম্পিকে সোনা জিতেছিলেন মেসি। ওটাই এখনো পর্যন্ত আর্জেন্টিনা অধিনায়কের জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ সাফল্য। সে দলের সতীর্থ জাবালেতা, ডি মারিয়া, রোমেরো, আগুয়েরোরা আজও ছিলেন। কিন্তু ফল? সে বড্ড হাহাকার-জাগানিয়া। অর্ধযুগ পরে সেই ‘বার্ডস নেস্টে’ মেসি উপহার পেলেন ব্রাজিলের কাছে পরাজয়ের হতাশা।
ম্যাচের স্কোরলাইন অবশ্য বলছে ব্রাজিল ২:০ আর্জেন্টিনা। তবে যে দুজনের ওপর সবার চোখ, সেই মেসি-নেইমারের স্কোরলাইনটা শূন্য-শূন্যই! শুধু তা-ই নয়, বলা যায় ম্যাচের সবচেয়ে সহজ দুটো সুযোগও নষ্ট করেছেন এই দুজন। মেসি তো পেনাল্টি থেকেই গোল করতে পারেননি, যেটি তাঁর পুরোনো রোগ। আর ঠিক পেনাল্টি না পেলেও ‘আধা-পেনাল্টি’ পেয়েছিলেন নেইমার। আর্জেন্টিনা গোলরক্ষককে একা পেয়েও জালে জড়াতে পারেননি বল। দুই তারকার এই মিস করার মহড়ায় ‘অখ্যাত’ ডিয়েগো তারদেল্লি দারুণ দুটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে সব আলো নিজের দিকে টেনে নিয়েছেন। ২৮ মিনিটেই ব্রাজিলকে এগিয়ে দেন এ স্ট্রাইকার। ৬৪ মিনিটে করেন দ্বিতীয় গোল।
ব্রাজিলের চেয়ে আর্জেন্টিনার মিস করার হারই বেশি। ১৯ মিনিটে অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়ার জোরালো শটটি জাল খুঁজে পায়নি। ২১ মিনিটে মিসের মহড়ায় যোগ দিলেন সার্জিও আগুয়েরাও। ২৮ মিনিটে দুই আর্জেন্টিনা ডিফেন্ডার জাবালেতা ও ফার্নান্দেজ হেডে অস্কারের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে তা হাতছাড়া করেন। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা তারদেল্লি দারুণ এক ভলিতে জালে বল জড়িয়ে দেন মুহূর্তেই।
৩১ মিনিটে রোমেরোকে একা পেয়ে গোল দিতে পারেননি নেইমার। আর এর ঠিক আট মিনিট পর প্রশ্নবিদ্ধ পেনাল্টি হাতছাড়া করেন মেসি। মেসি এরপর কয়েকটি ফ্রি কিকে ভুলটা পুষিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। নেইমারও একক নৈপুণ্যের ঝলকে আলো কেড়েছেন মাঝেমধ্যেই। তবে যে দুজনের জন্য আজ পাখির বাসায় এত এত ফুটবলপ্রেমীর কিচিরমিচির, সেই দুজন পার্শ্বনায়ক হয়েই রইলেন। দিনটা যে আর কারও নয়, ছিল শুধু তারদেল্লির। তাঁর একার!