সমাজ কল্যাণমন্ত্রী মহসিন আলীকে ‘নিদ্রামন্ত্রী’ আখ্যা!
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৯:৫৯,অপরাহ্ন ১৬ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
সম্প্রতি সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-উপদেষ্টার বিরূপ মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘মন্ত্রিদের সভায় দেখে মনে হয় এটি মন্ত্রিসভা নয়, চিড়িয়াখানা।’
তিনি রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জিয়া পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় একথা বলেন।
বি. চৌধুরী বলেন, ‘ঘুষ বা স্পিড মানি অবৈধ নয়- অর্থমন্ত্রীর এ বক্তব্য এ বছরের সর্বনিকৃষ্ট উক্তি। এটি বলে তিনি জঘন্য অন্যায় করেছেন। কিছুদিন পর দেখা যাবে তিনি বার্ষিক বাজেট পেশের সময় ঘুষের বাজেটও পেশ করবেন।’
সমাজ কল্যাণমন্ত্রী মহসিন আলীকে ‘নিদ্রামন্ত্রী’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি (মহসিন আলী) অনুষ্ঠানে যেভাবে ঘুমান, তাতে রাষ্ট্রের কি অবস্থা হবে তা আল্লাহই ভালো জানেন।’
এছাড়া তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী হাছান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর নাম ধরে তাদের কর্মকাণ্ডের কড়া সমালোচনা করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি।
তিনি বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রিসভা দেখলে মনে হয় এটি মন্ত্রিসভা নয়, আজব চিড়িয়াখানা।’
প্রধানমন্ত্রী-পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাপারে কাউকে মন্তব্য না করার অনুরোধ জানিয়ে বি. চৌধুরী বলেন, ‘সে (জয়) এখনো বাংলাদেশ সম্পর্কে জ্ঞানের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সে এদেশে ছিল না। বিদেশে থেকেছে, এমনকি বউও বিদেশিনী। তাই সে অনেক কিছুই জানে না। তাকে শিখতে দিন, জানতে দিন। তাকে নিয়ে কেউ মন্তব্য করবেন না।’
‘২০-দলীয় জোট বিষফোড়া’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনি (শেখ হাসিনা) জেনে না জেনে ২০ দলকে ভয় করছেন। নয়তো এতো কথা বলছেন কেন? হয়তো তারা সত্য কথা বলছে, নয়তো নিশ্চয় জনগণের সমর্থন রয়েছে, যে কারণে আপনার এতো ভয়।’
ধর্ম অবমাননাকারী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বিকল্পধারার চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে দেশে প্রধানমন্ত্রীর নামে ফেসবুকে কিছু বললে মানহানি হয়, জেলে যেতে হয়, শাস্তি পেতে হয়। সে দেশে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার পরেও লতিফ সিদ্দিকীর কেন শাস্তি হবে না?’
তিনি বলেন, ‘আজ যারা রাজনীতি করছে তারা জনগণের দায়িত্ব নেয়ার জন্য নয়, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য রাজনীতি করছেন। ফলে ক্ষমতায় যাওয়ার পরে আর জনগণের দায়িত্ব তারা নিতে পারেন না।’
ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ‘৭ নভেম্বরের বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ রুদ্ধদশা থেকে মুক্ত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতার জন্য আসেননি। তিনি নেতৃত্বশূন্যতা পূরণে দেশের হাল ধরেছিলেন।’
জিয়াউর রহমান দেশে উন্নয়নের রাজনীতি শুরু করেছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান দেশের শিক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক সকল ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করেছিলেন। তিনি দেশকে তলাবিহীন ঝুঁড়ি থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশে রূপান্তর করেছিলেন।’
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান কবির মুরাদের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ প্রমুখ।