শুরু হলো ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি : এ মাসের ইতিহাস ও কর্মসূচী
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩০:৫৬,অপরাহ্ন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
আজ ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন। আমাদের জাতীয় জীবনের সব জাগরণ ও স্বাধিকার আন্দোলনের চেতনার মূলে জড়িয়ে আছে ‘৫২-এর রক্তমাখা ফেব্রুয়ারি মাসের স্মৃতি। ভাষার লড়াইকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্ব ’৭১-এর রক্তক্ষয়ী মক্তিযুদ্ধের। যার ফলে অভ্যদয় ঘটল স্বাধীন বাংলাদেশের।
যেভাবে এলো ফেব্রুয়ারি
ভাষা আন্দোলন শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক আন্দোলন। ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির পর বর্তমান বাংলাদেশের মানুষ নিজের সংগ্রামী শক্তির প্রথম বহিঃপ্রকাশ ঘটায় এ আন্দোলনের মাধ্যমে।
বাংলাকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির গণদাবি ধীরে ধীরে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার দাবিতে পরিণত হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ লাভ করে, শহীদ হন অনেকে। সেদিন থেকে ফেব্রুয়ারি মানে ভাষার মাস, ফেব্রুয়ারি মানে রক্ত ঝরানো একুশে ফেব্রুয়ারি।
দক্ষিণ আফ্রিকা ও আসাম ছাড়া পৃথিবীর ইতিহাসে ভাষার জন্য এমন আন্দোলনের নজির নেই। পাকিস্তান আমলের এই আন্দোলনকে সীমিত অর্থে দেখলে সাংস্কৃতিক আন্দোলন হিসেবে ব্যাখ্যা করা যায়। কিন্তু এতে বিষয়টি খণ্ডিত হয়ে পড়ে। এটি ক্ষণস্থায়ী পাকিস্তান রাষ্ট্রের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটকে স্মরণ করিয়ে দেয়। জানিয়ে দেয় এ অঞ্চলের মানুষের মনস্তাত্ত্বিক সংকটও। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে কোনোভাবেই এর থেকে বিচ্যুত করা যায় না। এমনকি উপমহাদেশে বাংলার বিশিষ্টতা একুশে ফেব্রুয়ারির দান।
দু’শ’ বছরের ব্রিটিশ শাসনের পর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভাগ হয়ে ভারত ও পাকিস্তানের উদ্ভব হয়। পাকিস্তানের দুটি অংশ- পশ্চিম ও পূর্ব। দুই অংশের মধ্যে দূরত্ব হাজার মাইলেরও বেশি। দূরত্ব শুধু ভৌগোলিকই ছিল না, দুই ভূগোলের ছিল আলাদা সংস্কৃতি। ভাষাকেন্দ্রিক সমস্যা আসলে মৌলিক পার্থক্যগুলোর প্রকাশ মাত্র। দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই অন্যান্য পার্থক্যগুলো বিকট চেহারা নিয়ে হাজির হবে। যার প্রথম প্রকাশ ভাষা কেন্দ্রিক।
এমন নয় যে, ভাষাকেন্দ্রিক বিতর্ক নতুন করে গজিয়ে ওঠা কিছু। বরং, দেশভাগ হওয়ার আগেই ভাষাকেন্দ্রিক বিতর্ক জেগে ওঠে। ১৯৪৭ সালের ১৯ মে মুসলিম লীগ নেতা চৌধুরী খালিকুজ্জামান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘উর্দুই পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা হবে।’ একই বছরের ২২ ও ২৩ জুন লেখক ও সাংবাদিক আবদুল হক দুই কিস্তির একটি নিবন্ধ লিখেন। ‘বাংলা ভাষাবিষয়ক প্রস্তাব’ শিরোনামের ওই লেখায় তিনি বাংলা ভাষা কেন রাষ্ট্রভাষা হবে তার স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।
দেশভাগের এক বছরের মধ্যেই ১৯৪৮ সালে পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করে উর্দু হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। এমন হঠকারী ঘোষণা মেনে নেয়নি পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ। বাংলাভাষার সমমর্যাদার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। এই দাবিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে নানা সংগঠন। আয়োজিত হতে থাকে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ। লেখা হয় প্রবন্ধ, কবিতা ও গান। অর্থাৎ, সমাজের সর্বস্তরে ভাষা প্রশ্নটি গুরুত্ব লাভ করে।
এর সর্বোচ্চ বিস্ফোরণ ঘটে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮)। সেদিন সরকারি ১৪৪ ধারা আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহু সংখ্যক ছাত্র, জনতা ও রাজনৈতিক কর্মী বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলে পুলিশ গুলি করলে নিহত হন রফিক, সালাম, বরকতসহ নাম না জানা আরও অনেকে। এ ঘটনায় সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন অঞ্চলে মিছিল ও বিক্ষোভ হয়। পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৫৬ সালে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়। ১৯৫৩ সাল থেকে প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারিতে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিবসের শুরু হয় খুব সকালে নগ্ন পায়ে প্রভাতফেরির মাধ্যমে। সর্বস্তরের জনগণ শহীদ মিনারে গভীর শ্রদ্ধা নিয়ে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এ ছাড়া আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদির মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করা হয়। এ দিনে সরকারি ছুটি থাকে। বেতার, টেলিভিশন ও সংবাদমাধ্যমগুলো বিশেষ আয়োজন করে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী আয়োজিত হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকার দেশের অন্যতম সম্মাননা একুশে পদক বিশিষ্ট ব্যক্তিদের প্রদান করে।
২০০০ সালে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। পরের বছর থেকে দিনটি বৈশ্বিক পর্যায়ে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে।
আজ শুরু হচ্ছে অমর একুশে গ্রন্থমেলা
আজ থেকে মাসব্যাপী বাংলা একাডেমির সবুজ চত্বর বিকেল থেকে আবার সরব হয়ে উঠবে বইপ্রেমীদের পদচারণে। প্রাণস্পন্দন ছড়িয়ে পড়বে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও।
বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনও শুরু হতে যাচ্ছে আজ থেকে। বেলা তিনটায় এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে গ্রন্থমেলার সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। বলা হয়, গতবারের মতো এবারও মেলা একাডেমি প্রাঙ্গণের পাশাপাশি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হচ্ছে। তবে এবার জায়গা আরও বাড়ানো হয়েছে। একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান জানান, এ ছাড়া হবে চার দিনের আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিসচিব রণজিৎ কুমার বিশ্বাস, মেলার পৃষ্ঠপোষক টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয় ও বিপণন) মো. শাহ আলম প্রমুখ।
বাংলা একাডেমির সচিব আলতাফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে জানান, এবারের মেলায় একাডেমি ১ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ করেছে। এর বাইরে পৃষ্ঠপোষক টেলিটক ৬০-৭০ লাখ টাকা খরচ করবে। সাহিত্য সম্মেলনে ২৫-৩৫ লাখ টাকা খরচ হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া চারদির শিশু প্রহর ঘোষণা করা হবে। নজরুল মঞ্চ ঘিরে নির্মিত শিশুকর্নারে থাককে শিশু-কিশোর বিষয়ক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের স্টল। এবারের বই মেলায় বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ১০০টির বেশি নতুন বই পাওয়া যাবে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
৩৫১ প্রতিষ্ঠানকে ৫৬৫টি ইউনিট
এবার মেলায় ৩৫১টি প্রতিষ্ঠানকে ৫৬৫টি ইউনিট স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১২৮টি ইউনিট এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবারই প্রথম বাংলা একাডেমিসহ ১১টি প্রকাশনীকে প্যাভিলিয়ন দেওয়া হয়েছে। একাডেমির ভেতরের অংশে থাকবে ৩২টি শিশু-কিশোর প্রকাশনা, ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠান, ১৯টি মিডিয়া ও আইটি প্রতিষ্ঠান ও ১৭টি অন্যান্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। বহেড়া তলায় ৭২টি লিটল ম্যাগাজিনকেও স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যাঁরা বই প্রকাশ করেছেন, তাঁদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলিয়ে বাংলা একাডেমির পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্র থাকবে। এর একটি সম্পূর্ণভাবে একাডেমির প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থ দিয়ে সাজানো হবে।
আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে ১২ দেশের ৪৮ প্রতিনিধি
পথচলার ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চার দিনের আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করেছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এদিন কোনো সেমিনার বা বিষয়ভিত্তিক আলোচনা হবে না। আগামীকাল সোমবার সকাল ১০টায় সাহিত্য সম্মেলনের ধারণাপত্র উপস্থাপন করবেন সৈয়দ শামসুল হক। এর মধ্য দিয়েই শুরু হবে সম্মেলনের মূল পর্ব।
এ পর্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সমরেশ মজুমদার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও রাহাত খান। দ্বিতীয় অধিবেশনে কথাসাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ করবেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। পর্যায়ক্রমে এ অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নেবেন হাসান আজিজুল হক, সেলিনা হোসেন, কাজী আনিস আহমেদ, আনিসুল হক, পূরবী বসু, আনোয়ারা সৈয়দ হক, ইমদাদুল হক মিলন প্রমুখ। ৩ ফেব্রুয়ারি কবিতাবিষয়ক অধিবেশনে প্রবন্ধ পাঠ করবেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ৪ ফেব্রুয়ারি নাটকবিষয়ক অধিবেশনে প্রবন্ধ পাঠ করবেন রামেন্দু মজুমদার।
যেসকল দেশ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে
সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, ভারত, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইডেন, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, মালয়েশিয়া, ইকুয়েডরসহ ১২টি দেশের ৪৮ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কবি, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার ও সাহিত্য-সমালোচক অংশ নিচ্ছেন।
সম্মেলনে অংশ নেয়া বিদেশি কবি সাহিত্যিক
আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী বিদেশি লেখকদের মধ্যে রয়েছেন ফ্রাঁস ভট্টাচার্য, হান্স হার্ডার, ফাদার দ্যুতিয়েন, মারিয়া বারেরা হেলেনা, তবিয়াস বিয়ানওনে, দাতু ড. আহমেদ কামাল আবদুল্লাহ, জার্মেইন ড্রুগেনব্রুট, সিন্ডিলি ব্রাউন, পিটার নাইবার্স, জামি ঝু, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, নবনীতা দেবসেন, উদয় নারায়ণ সিংহ, উৎপল কুমার বসু, সুবোধ সরকার প্রমুখ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের লেখকদের পাশাপাশি ত্রিপুরা, আসাম এবং বিহারের মৈথিলি ও ভোজপুরি ভাষার বেশ কয়েকজন সাহিত্যিকও এ সাহিত্য সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
মেলা মঞ্চে যত আয়োজন
বাংলা একাডেমির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলনও শুরু হবে আজ। আগামীকাল থেকে সৃষ্টিশীল সাহিত্য নিয়ে দুটি করে অধিবেশনে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত প্রথম অধিবেশন এবং বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত দ্বিতীয় অধিবেশন। প্রতিটি অধিবেশনই অনুষ্ঠিত হবে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে। সম্মেলন চলবে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন বিকেল চারটায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সেমিনার। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি-রাজনীতি-সমকালীন প্রসঙ্গ এবং বিস্মৃতপ্রায় বিশিষ্ট বাঙালি মনীষার জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সময়সূচি
বই মেলা প্রতিদিনি বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা, ছুটির দিন ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।