যৌতুক না পেয়ে দীপিকাকে পেটালো পাষণ্ড স্বামী
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৪:১৪,অপরাহ্ন ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যু যন্ত্রণায় ছটফট করছেন গৃহবধূ দীপিকা মণ্ডল। পিতৃহীন দীপিকার কষ্টের কথা শোনার একজনই আছেন। কিন্তু সেই মায়ের ফোন নম্বর মনে না থাকায় তাকেও খবর দিতে পারছেন না। যৌতুকের জন্য মঙ্গলবার রাতে স্বামী ও ননদের বেধড়ক লাঠিপেটায় গুরুতর আহত হন দীপিকা। তার পিঠে এখনও লালচে দগদগে দাগ। নড়বার শক্তিটুকুও নেই। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বেজপাড়া গ্রামে গত মঙ্গলবার রাতে দীপিকার ওপরে পাশবিক নির্যাতন চালায় তার পাষণ্ড স্বামী। ঘটনাটি জেনে স্থানীয় ইউপি সদস্য আলমঙ্গীর হোসেন মঙ্গলবার রাতেই তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
উপজেলার সুন্দরপুর-দূর্গাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলমগীর হোসেন জানান, আট বছর আগে বেজপাড়া গ্রামের জ্ঞানেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে সঞ্জয় বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় জেলার শৈলকুপা উপজেলার বাদলশো গ্রামের মৃত গোপী মণ্ডলের মেয়ে দীপিকার। তাদের পাঁচ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই এক লাখ টাকা যৌতুকের জন্য সঞ্জয় তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। গতকাল রাতেও দীপিকাকে বেধড়ক মারপিট করে সঞ্জয় ও তার বোন। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দীপিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দীপিকা জানান, দুই বছর আগেও নির্যাতনের পর এলাকার লোকজন শালিস করে বিষয়টির সমাধান করেন। কিন্তু তারপরও স্বামীর নির্যাতন বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানা ওসি আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,’আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। আমি দ্রুত খোঁজ খবর নিচ্ছি।’ এ ব্যাপারে কেউ আইনি সহায়তা চাইলে তাকে তা দেওয়া হবে বলেও ওসি জানান।