যত বিতর্ক সানি লিওনের
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:২৬:৪০,অপরাহ্ন ১১ নভেম্বর ২০১৪
বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের আবেদনময়ী নায়িকা সানি লিওন গুগলে সর্বাধিক সার্চকৃত তারকাদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু সানি লিওন আর বিতর্ক যেন ওতপ্রতভাবে জড়িত। সাবেক এ পর্নো তারকার বলিউডে অভিষেকের পর থেকে তাকে ঘিরে চলছে নানা বিতর্ক।
তার পোশাক থেকে শুরু করে সিনেমায় বিভিন্ন দৃশ্যের কারণে তিনি বিতর্কিত হয়েছেন। রাগিনী এমএমএস টু খ্যাত এ তারকার বিতর্কিত কিছু ঘটনা নিয়ে এ রচনা।
রাগিনী এমএমএস টু নিয়ে বিতর্ক : একতা কাপুর পরিচালিত রাগিনী এমএমএস টু সিনেমার শুরু থেকেই বিতর্কিত হন সানি লিওন। সিনেমায় তার গোসলের এবং অভিনেত্রী সন্ধ্যা মৃদুলের সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্য সহ বেশ কিছু রগরগে দৃশ্য করার কারণে সমালোচকদের সমালোচনার মুখে পড়েন সানি।
দৃশ্যগুলোর কারণে সানি লিওনের রিরুদ্ধে প্রতিবাদও করেছেন অনেকে। এক প্রতিবেদনে জানা যায় ভারতের ইনডোরে ভ্রমণকালে এ অভিনেত্রীকে সে শহরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য প্রতিবাদ মিছিল করেছিল ‘বাজরাঙ্গ দল’ নামক এক সংস্থা।
তবে সানির বিরুদ্ধে এ রকম প্রতিবাদ নতুন কিছু নয়। সানি লিওনের প্রথম সিনেমা জিসম টু মুক্তির সময়ও অনেক প্রতিবাদের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
সানি লিওন ভার্সেস কাপিল শর্মা : সানি লিওন তার জ্যাকপট সিনেমার প্রচারণার জন্য অনেক কিছুই করেছেন। নানা রকম অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতেও দেখা গেছে সানিকে। কিন্তু বলিউডের সিনেমা প্রচারণার অন্যতম রিয়েলিটি শো ‘কমেডি নাইট উইথ কাপিলে’ দেখা যায়নি সানিকে। তাই অনেকেই নানা রকম মন্তব্য করেছিল সে সময়।
গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল সানিকে নাকি নিজের অনুষ্ঠানে নিতে চাননি কাপিল শর্মা। বলিউড কিং শাহরুখ থেকে শুরু করে জন আব্রাহামের মতো নায়করা যেখানে সানি লিওনের সঙ্গে অভিনয় করতে রাজি ছিল সেখানে কাপিলের এ আচরণ বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে একতা কাপুরের সঙ্গে রাগিনী এমএমএস টু সিনেমার প্রচারণায় এসে সে বিতর্ক উড়িয়ে দেন এ অভিনেত্রী।
ধর্ষণ নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্ক : সানি লিওন তার টুইটার বার্তায় লিখেছিলেন, ‘রেপ ইজ নট এ ক্রাইম, ইটস জাস্ট সারপ্রাইজিং সেক্স’। খবরটি পরবর্তীতে প্রকাশ পায় টুইটারে, তার সাবেক ‘বিগ বস’ প্রতিযোগী কামাল আর খানের টুইটার বার্তায়। এমন পোস্ট স্বাভাকিভাবেই বিতর্কের ঝড় তুলেছিল।
কিন্তু তিনি টুইটারে এমন পোস্ট করেননি বলে জানিয়েছিলেন সানি। তিনি বলেছিলেন তার টুইটার অ্যাকাউন্ট ৫ মিনিটের জন্য হ্যাক হয়ে গিয়েছিল। সে কারণে একটি সাইবার ক্রাইম মামলাও করেছিলেন তিনি। মামলাটি করেছিলেন কামাল আর খানের বিরুদ্ধে। কামাল আর খানের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন ধর্ষণ নিয়ে তার সম্পর্কে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছেন কামাল আর খান।
জিসম টু নিয়ে বিতর্ক : জিসম টু সিনেমায় সানি লিওনের নাম উচ্চারণের পর থেকেই উঠেছিল বিতর্ক। বলিউড তারকায় পর্নো সিনেমার নায়িকাকে নেওয়ায় সিনেমার পরিচালকের মহেশ ভাটকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠেছিল। এরপর সিনেমার পোস্টার বিতর্ক থেকে শুরু করে রগরগে দৃশ্য, সিনেমার প্রচার বন্ধ করা, এমনকি সানি লিওনের এ সিনেমায় অভিনয় করার বিষয়েও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সানি লিওনের বিরুদ্ধে বিতর্কের মূল কারণ ছিল তার সিনেমা সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
পর্নো সিনেমা নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কিত : বলিউডের রূপালি পর্দায় অভিষেকের পরেও সানি লিওনকে শুনতে হয়েছে তার অতীত পেশা নিয়ে নানা কটুক্তি। তাই তার পর্নো সিনেমায় কাজ করা নিয়ে সানি লিওন বলেছিলেন, ‘পর্নো তারকা মানেই প্রস্টিটিউট নয়’। তাকে নিয়ে বলিউড দর্শকদের এমন নেতিবাচক মন্তব্যের কারণে তিনি বলেছিলেন, ‘ইন্ডিয়াতে কোনো পর্নো সিনেমায় শিল্প নেই তাই তাদের এ সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই।’ সানির এমন মন্তব্য ভারতীয় মিডিয়া এবং বলিউড পাড়ায় তাকে বিতর্কিত করেছিল।
বিগ বস বিতর্ক : ‘বিগ বস’ এর পঞ্চম আসরে অংশগ্রহণ করেছিলেন সানি লিওন। সে সময় তার আসল পরিচয় বাইরের কেউ জানতো না। অনেকটা নিজের আসল পরিচয় গোপন করেই ‘বিগ বসে’ এসেছিলেন তিনি। তারপর তার হাসি এবং আকর্ষণীয় সব আচরণ দিয়ে দর্শকদের মন জয় করে নেন এ অভিনেত্রী।