মার্কিন অভিবাসীদের বৈধতা দিচ্ছেন বারাক ওবামা
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৯:০৯,অপরাহ্ন ১৪ নভেম্বর ২০১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন অভিবাসীদের বৈধতা দিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।খুব শিগগিরই তার নিবার্হী ক্ষমতা প্রয়োগ করে দেশটির অভিবাসী নীতি পরিবর্তন করতে যাচ্ছেন বলে গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ অভিবাসীদের সন্তানরা নতুন এ পরিকল্পনায় নাগরিকত্ব পাবে। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অনিবন্ধিত ৫০ লাখের বেশি অভিবাসী রয়েছে।
তবে ওবামা ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পার্লামেন্টের উভয়কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া বিরোধীদল রিপাবলিকান পার্টি। দলটি অভিবাসীদের ক্ষেত্রে কঠোর নীতি গ্রহণ করে থাকে।
সম্প্রতি নিবন্ধন নেই এমন বৈধ অভিবাসীর সন্তানদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ করে অভিবাসীরা।
কংগ্রেসের রিপাবলিকান সদস্যরা বলেছেন, এ রকম পদক্ষেপ প্রেসিডেন্ট ওবামা কর্র্তৃপক্ষের অধীনে। তবে পার্লামেন্টের স্পিকার ও রিপাবলিকান নেতা জন বোয়েনার সাংবাদিকদের জানান, এ রকম পদক্ষেপ নিলে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমরা তীব্র লড়াই করব।
দেশের অভিবাসী ব্যবস্থা উন্নতির উপায় খুঁজে বের করার জন্য প্রেসিডেন্ট ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটের হবু নেতা মিচ ম্যাককোনেল। তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে আগে অনেকবার বলা হয়েছে, আজও বলছি- নির্বাহী ক্ষমতার মাধ্যমে অভিবাসী নীতি পরিবর্তন করা হলে এর স্থায়ী কোনো পরিবর্তন হবে না।’
তার এ অভিবাসী নীতিটি শুধু বিরোধী দলের বাধার মুখেই পড়েনি। খোদ নিজ দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা এর বিরোধিতা করেছেন। আগামী ১১ ডিসেম্বর কংগ্রেসে বিলটি পাস করানোর পরই তা বাস্তবায়ন করার জন্য ওবামার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির কংগ্রেস নেতা হ্যারি রেইড। তবে কংগ্রেসে বিলটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ কংগ্রেসের (পার্লামেন্ট) উভয় কক্ষই বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে।
আফ্রিকা, এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, ইউরোপ থেকে প্রতিবছর হাজারো লোক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে থাকে। ওবামা তাদের বৈধতা দিতে অনেক দিনে থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওবামার জয়ী হওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসীদের ভোট অনেক কাজে দিয়েছিল। আর মাত্র দুই বছর ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি। আর এ সময়ের মধ্যে ওবামা তার নির্বাহী ক্ষমতা মাধ্যমে বিলটি আইনে রূপান্তরিত করবেন।