মন্ত্রীদের সতর্ক হয়ে কথা বলার পরামর্শ
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪১:৩৩,অপরাহ্ন ১৭ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তারা এ দাবি তুলে ধরেন। তবে মন্ত্রীদের আপত্তি এবং প্রস্তাবের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি কিছু বলেননি।
বৈঠক সূত্র জানায়, অনির্ধারিত আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ কয়েকজন সিনিয়র মন্ত্রী এইচটি ইমামের প্রসঙ্গ তুলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। এ ধরনের বক্তব্য দল ও সরকারকে বেকায়দায় ফেলে বলে মন্ত্রীরা মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী সিনিয়র মন্ত্রীদের বক্তব্য শোনার পর সরাসরি প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে মন্ত্রী সভার সদস্যদর সরকার বিব্রত হয় এ ধরনের কথা বলা থেকে মন্ত্রীদের বিরত থাকার পরামর্শ দেন। প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সঙ্গে এ নিয়ে এইচ টি ইমামের কোনো কথা হয়নি। তার ফোন রিসিভ করেননি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেনিবেট বৈঠকে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০১৪ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।একই সাথে সার্কভুক্ত দেশসমূহে যাত্রাবাহী মালগাড়ি চলাচলের জন্য আঞ্চলিক রুটে যুক্ত হওয়ার জন্য এ সংক্রান্ত একটি চুক্তির খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছেন মন্ত্রীসভা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভুইয়া জানান, মন্ত্রিসভা বৈঠকে সোমবার ‘ড্রাফট মটর ভেহিক্যালস এগ্রিমেন্ট ফর দ্য রেগুলেশন অব প্যাসেঞ্জার অ্যান্ড কার্গো ভেহিকুলার ট্রাফিক অ্যামগস্ট সার্ক মেম্বার স্টেটস’ শীর্ষক চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ চুক্তির মাধ্যমে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে অবাধে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে দুয়ার খুলবে। খসড়া চুক্তিতে চলাচলের ক্ষেত্রে লাইসেন্স ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বীমার কথাও বলা হয়েছে।তিনি জানান, ‘আগামী ২৬ ও ২৭ নভেম্বর কাঠমুন্ডুতে সার্ক সামিটে এ চুক্তি স্বাক্ষর করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার আগে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ের মিটিংয়ে এটি চূড়ান্ত হতে হবে।