বিয়ে না হওয়াটা কী দোষের!
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৭:১৩,অপরাহ্ন ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪
 লাইফ স্টাইল ডেস্ক:: বিয়ে ব্যাপারটিকে ভাগ্য বলেই মেনে নেই আমরা। আর তাই বিয়ে হওয়া কিংবা না হওয়ার ব্যাপারটিও ভাগ্যেরই লিখন বলা চলে। একটা সময় ছিল, যখন একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে অবিবাহিত মানুষ সেরকমভাবে চোখেই পড়তো না। কিন্তু আজকাল পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন অনেকেই চোখে পড়ে অবিবাহিত রয়ে গেছেন কিংবা বিয়ে হতে হতে অনেকটা বয়স হয়ে যাচ্ছে। বিয়ে করতে চান, কিন্তু যে কোন কারণেই হোক করছেন না পারছেন না, এমন অবস্থায় মানুষের মানসিক অবস্থাটা বেশ অদ্ভুত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যখন সমস্ত বন্ধু ও ভাইবোনদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, এবং আপনাকে বিয়ের জন্য কথা শোনাচ্ছে লোকে। কেউই বুঝতে চান যে এই পরিস্থিতি একজন মানুষের জন্য কতটা পীড়াদায়ক। আর সেই কষ্ট থেকেই তাঁদের মনে জেগে ওঠে অদ্ভুত কিছু ভাবনা ও অনুভূতি।
লাইফ স্টাইল ডেস্ক:: বিয়ে ব্যাপারটিকে ভাগ্য বলেই মেনে নেই আমরা। আর তাই বিয়ে হওয়া কিংবা না হওয়ার ব্যাপারটিও ভাগ্যেরই লিখন বলা চলে। একটা সময় ছিল, যখন একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরে অবিবাহিত মানুষ সেরকমভাবে চোখেই পড়তো না। কিন্তু আজকাল পরিস্থিতি ভিন্ন। এখন অনেকেই চোখে পড়ে অবিবাহিত রয়ে গেছেন কিংবা বিয়ে হতে হতে অনেকটা বয়স হয়ে যাচ্ছে। বিয়ে করতে চান, কিন্তু যে কোন কারণেই হোক করছেন না পারছেন না, এমন অবস্থায় মানুষের মানসিক অবস্থাটা বেশ অদ্ভুত হয়ে ওঠে। বিশেষ করে যখন সমস্ত বন্ধু ও ভাইবোনদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, এবং আপনাকে বিয়ের জন্য কথা শোনাচ্ছে লোকে। কেউই বুঝতে চান যে এই পরিস্থিতি একজন মানুষের জন্য কতটা পীড়াদায়ক। আর সেই কষ্ট থেকেই তাঁদের মনে জেগে ওঠে অদ্ভুত কিছু ভাবনা ও অনুভূতি।
১) একাকীত্ব হঠাৎ করে চেপে ধরে। আশেপাশের সবকিছু মিলিয়ে মন বিষণ্ণ হয়ে ওঠে আর সেটা রূপ নেয় একাকীত্বে। সকলের মনের মানুষ আছে, আমার নেই- এমন ভাবনা নিঃসঙ্গতা বাড়ায়।
২) বন্ধু কিংবা ভাইবোন সকলের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর নিজেকে বিচ্ছিন্ন আর খাপছাড়া মনে হতে শুরু করে। মনে হয় এখন আর আপনি তাঁদের জীবনের কেউ নন।
৩) নিজেকে অযোগ্যও লাগে কখনো কখনো। মনে হয় যদি যোগ্যই হতাম, তাহলে তো একজন মনের মানুষ থাকত। আমি অযোগ্য বলেই কেউ আমাকে পছন্দ করছে না।
৪) অনেকেরই এইসময়ে মনে হয় যে পরিবারের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। এটা খুবই স্বাভাবিক আমাদের সমাজে। কেননা বিয়েতে দেরি হলে সবচাইতে বেশি কথা পরিবার থেকেই শুনতে হয়।
৫) ভাগ্যের প্রতি অভিমান জন্মে অনেকেরই। মনে হয় সকলের ভাগ্য এত ভালো, আমার ভাগ্য এত খারাপ কেন?
৬) অনেকেই বেশ রুক্ষ্ম ও বদমেজাজি হয়ে ওঠেন। নিজের বিষণ্ণতা ও একাকীত্ব ঢাকার জন্য বদমেজাজকে সঙ্গী করে নেন নিজের অজান্তেই।
৭) সামাজিক অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলতে চান অনেকেই। কেননা সামাজিক অনুষ্ঠান মানেই বিয়ে নিয়ে অহেতুক একগাদা প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া। বিশেষ করে অন্য কারো বিয়ের অনুষ্ঠানে যেতে তো খুবই অস্বস্তি বোধ করেন বেশিরভাগ মানুষ।
৮) অনেকেই এমন অবস্থায় একজন মনের মানুষ পাবার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন, বিশেষ করে নারীরা। অনেক নারীই অন্যের স্বামী বা প্রেমিকের দিকে হাত বাড়ান। পুরুষ অন্যের স্ত্রীর প্রতি আগ্রহী না হলেও অন্যের প্রেমিকার প্রতি আগ্রহ রাখেন।
৯) কারো কারো মাঝে নিজেকে প্রদর্শন করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাঁরা মনে করেন বিয়ে না হওয়াটা একটা ত্রুটি, এবং সেই ব্যাপারটি তাঁরা অন্য সবকিছুর বাড়াবাড়ি প্রদর্শন করে ঢেকে রাখতে চান।
একটা জিনিস মনে রাখবেন, বিয়ে না হওয়াটা কোন দোষের বিষয় নয়। হতে পারে ভাগ্য, হতে পারে অন্য কিছু। কিন্তু দোষ কখনোই নয়। তাই নিজেকে দোষী ভেবে শুধু শুধু মন খারাপ করবেন না।







