বিশ্বনাথ উপজেলায় নুনু মিয়ার রেকর্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪২:৪৮,অপরাহ্ন ২০ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নিখোঁজ বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীর নিজ বাড়ির ভোটকেন্দ্রে জয় পেয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এসএম নুনু মিয়া। একই সঙ্গে এই উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নুনু মিয়া।
দীর্ঘ সময় পর ইলিয়াস আলীর নিজ বাড়ির রামধানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে জয় হলো নৌকার। ভোটের রাজনীতিতে ইলিয়াস আসার পর থেকে এই কেন্দ্রে জাতীয় ও স্থানীয় সব নির্বাচনে জয়লাভ করেছে বিএনপি। সে হিসেবে প্রথমবারের মতো রেকর্ড গড়ে জয়ী হলেন নুনু মিয়া।
জানা যায়, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) এই ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি কেউ। পড়েনি একটি ভোটও।
তবে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এই কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এসএম নুনু মিয়া পেয়েছেন ২৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরী কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছন ২৫৮ ভোট। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় দল থেকে বহিষ্কার হন সুহেল আহমদ চৌধুরী।
বিশ্বনাথ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ৭৪টি কেন্দ্র রয়েছে। এই উপজেলায় মোট ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৬৫৯। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে ভোটগ্রহণ। কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে ভোটার উপস্থিতি ছিল একবারেই কম।
৭৪টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এসএম নুনু মিয়া পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি নেতা সুহেল আহমদ চৌধুরী কাপ-পিরিচ প্রতীকে পেয়েছন ১৮ হাজার ২৪৮ ভোট। প্রায় দ্বিগুণ ভোট এগিয়ে থেকে এবার উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এসএম নুনু মিয়া।
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে সিলেটের ১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোটগ্রহণ শেষ হলেও সিলেট সদর উপজেলার বেশিরভাগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। তবে ভোটার না থাকলেও কয়েকটি কেন্দ্রে র্যাব ও পুলিশ কড়া নিরপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে। এছাড়া কেন্দ্রগুলোতে সংবাদ সংগ্রহ করতে কিছু সাংবাদিককেও দেখা গেছে।
সিলেট সদর উপজেলার অন্তত ১২টি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি অন্য যেকোনো নির্বাচনের চেয়ে কম। বিচ্ছিন্নভাবে দু’একজন এসে ভোট দিয়ে চলে যাচ্ছেন। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটারদের দেখা মেলেনি।