পুলিশের কথা বলার ওপর নিষেধাজ্ঞা
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১৮:২০,অপরাহ্ন ০৪ মার্চ ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র ও মিডিয়া বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার ছাড়া পুলিশের অন্য কোন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না বলে লিখিত নির্দেশ জারি করা হয়েছে। আর এই আদেশ জারি করেছেন স্বয়ং পুলিশ কমিশনার। পুলিশের ভাবমূর্তি রক্ষা এবং পুলিশের ভূমিকা যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্যই এই নির্দেশ বলে আদেশে বলেছেন কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়েছে, ডিএমপির স্বতন্ত্র মিডিয়া বিভাগ থাকার পরও ঢাকা মহানগরীতে সংঘটিত গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর ঘটনা নিয়ে পূর্ব অনুমতি ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে (প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, অনলাইন) নিজম্ব মতামত ও বক্তব্য তুলে ধরছেন। যার ফলে জনমনে বিভ্রান্তি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তিনি বলেছেন, কোন ঘটনার ব্যাপারে ব্যাখ্যা বা বক্তব্য দেয়ার জন্য ডিএমপির মুখপাত্র এবং উপ পুলিশ কমিশনার মিডিয়া রয়েছেন। তাঁরাই সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। কোন ঘটনা, মামলা, মামলার তদন্তসহ স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই দু’জনের বাইরে কোন কর্মকর্তাকে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তিনি তাঁর আদেশে বলেছেন, মুখপাত্র এবং ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ছাড়া অন্য কোন কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমে মামলা, তদন্ত বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলে নিজস্ব এবং অনুমান নির্ভর মতামত দিলে বা বিতর্কিত মন্তব্য করলে তা বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টির পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তথা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন এবং ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। এই আদেশে পুলিশ কমিশনার সাত দফা নির্দেশনাও দিয়েছেন। তাতে নাগরিকরা উজ্জীবিত হয় এমন বক্তব্য দিতে বাধা নেই। আর তা দেবেন পুলিশ কমিশনারসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে কোন বিতর্কিত বা স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা বলা যাবে না। তাৎক্ষনিক কোন অভিযানের সময় সংবাদ মাধ্যমে তথ্য না দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। একদম নিরুপায় হলে সাধারণ বক্তব্য দিতে হবে। অভিযানের ধরন বা যন্ত্র ও কলাকৌশল নিয়ে কোন কথা বলা যাবে না।
পুলিশ সদস্যদের The Government Servants (Conduct) Rules,1979 ও Right to Information Act,2009 .মেনে চলতে বলা হয়েছে। ২ মার্চ জারি করা এই আদেশ এরইমধ্যে পুলিশের সকল বিভাগের ডেপুটি কমিশনার এবং তাদের অধস্তনদের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।