নতুন মন্ত্রিসভায় আলোচনায় মাশরাফী
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:২১:১৭,অপরাহ্ন ০৯ জানুয়ারি ২০২৪
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আরও পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্ব পাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে দলটি। বুধবার (১০ জানুয়ারি) নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন। পরেরদিন বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ হবে। মন্ত্রিসভার সদস্য কারা হচ্ছেন, তা নিয়ে নির্বাচনের পর থেকেই আলোচনা চলছে।
মো: আবদুল্লা আল আমীন
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) শপথের সময় নির্ধারণের পর সেই আলোচনার পালে আরও হাওয়া লেগেছে। ‘পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব’ ও অভিজ্ঞ নেতারাই মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। নতুনরা যেমন যোগ হবেন, তেমনই পুরানোদের অনেকে থাকছেন না বলেও আভাস পাওয়া গেছে।
এই তালিকায় নাম আছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাবেক ও সফল অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার। নড়াইল-২ আসনের এমপি ও ক্রিকেট তারকা মাশরাফীকেও মন্ত্রিসভায় রাখতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
ক্রিকেট পাড়ার তুমুল জনপ্রিয় তারকা যে রাজনীতির মাঠেও কতটা জনপ্রিয় তা দ্বিতীয়বার প্রমাণ করলেন মাশরাফী। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন থেকে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছেন তিনি। মাশরাফী জয়ের পাশাপাশি প্রতিপক্ষের সঙ্গে ভোট ব্যবধান এতটাই গড়েছেন যে সাবেক এমপিসহ ৭ প্রার্থী তাদের জামানত হারিয়েছেন।
১৪৭ কেন্দ্রে ১ লাখ ৮৯ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন মাশরাফী। মাশরাফীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন হাতুড়ি মার্কার শেখ হাফিজুর রহমান। তিনি ভোট পেয়েছেন ৪ হাজার ৪১টি। এ ছাড়াও ঈগল মার্কার প্রার্থী মোহাম্মদ নূর ইসলাম পেয়েছেন ১ হাজার ৩৬৩ ভোট।
মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে সংবিধান কী বলছে?
সংবিধানের ৫৫(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের একটি মন্ত্রিসভা থাকিবে এবং প্রধানমন্ত্রী ও সময়ে সময়ে তিনি যেরূপ স্থির করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী লইয়া এই মন্ত্রিসভা গঠিত হইবে।’
আর একই অনুচ্ছেদের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রিসভা যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থাকিবেন।’ আর সংবিধানের ৫৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘একজন প্রধানমন্ত্রী থাকিবেন এবং প্রধানমন্ত্রী যেরূপ নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকিবেন।’
ধারা দুইয়ে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদিগকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করিবেন।’
এ ক্ষেত্রে শর্তও দেয়া হয়েছে। সংবিধান অনুসারে, ‘তাহাদের সংখ্যার অন্যূন নয়-দশমাংশ সংসদ-সদস্যগণের মধ্য হইতে নিযুক্ত হইবেন এবং অনধিক এক-দশমাংশ সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইবার যোগ্য ব্যক্তিগণের মধ্য হইতে মনোনীত হইতে পারিবেন।’
আর ধারা তিনে বলা হয়েছে, ‘যে সংসদ-সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট প্রতীয়মান হইবেন, রাষ্ট্রপতি তাঁহাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করিবেন।’