জিয়ার খেতাব কেড়ে নেয়া উচিৎ
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৭:১৭,অপরাহ্ন ১১ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক: জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তিনি প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। এ কারণে তার বীরউত্তম খেতাব কেড়ে নেয়া উচিৎ।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এ কথা বলেছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। আছিয়া আলী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা মেজর আব্দুল গণির ৫৮তম মুত্যু দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
কামরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করলেন তাদের সাথে তার এত তাড়াতাড়ি আপোষ নানা প্রশ্নের জম্ম দেয়। তাই ১৯৭৫ সালের পরবর্তী তার ভ’মিকায় বুঝা যায় জিয়া প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট হিসেবে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। জিয়ার এ ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য তার বীরউত্তম খেতাব কেড়ে নেয়া উচিৎ।’
তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসে বাকসন্ত্রাসের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্র করছে।’
মেজর আব্দুল গণির স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘মেজর আব্দুল গণির নেতৃত্বে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কাছে ওয়ারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষনা পত্র পাঠিয়েছিলেন।’
আছিয়া আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ক্যান্সার বিশেষঞ্জ ডা. এম এ হাশেমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মোহাম্মদ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (এমসিএইচ-সার্ভিসেস) ডা. মোহাম্মদ শরীফ।