জাতীয় কবির ১১৬তম জন্মবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৪:০৬,অপরাহ্ন ২৫ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: ‘আমি যুগে যুগে আসি/আসিয়াছি পুনঃমহাবিপ্লব হেতু/এই স্রষ্টার শনি, মহাকাল ধূমকেতু। ‘বাংলা সাহিত্যে ধূমকেতুর মতোই আবির্ভাব ঘটেছিল তাঁর। তিনি অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী, তিনি গানের বুলবুল, বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। আজ ২৫ মে (১১ জ্যৈষ্ঠ) তাঁর ১১৬ম জন্মবার্ষিকী।
নিজের সম্পর্কে তাঁর সরল মূল্যায়ন_ ‘বিংশ শতাব্দীর অসম্ভবকে সম্ভব করার যুগে জন্ম আমার।’ সত্যি অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তিনি। তার রচনা ক্রান্তিকালে দিয়েছে পথের দিশা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যেমনটা হয়েছে, মুক্তিকামী বাঙালি তাঁর কবিতা-গানে হয়েছে উদ্দীপ্ত।
১৮৯৯ সালের এদিনে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে দ্রোহ, প্রেম, সাম্য, মানবতা ও শোষিত মানুষের মুক্তির বার্তা নিয়ে আসা কবি নজরুলের জন্ম। বাবা কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। দুঃখ-দারিদ্র্য ছিল তাদের নিত্যসঙ্গী। তাই ছেলের নাম রেখেছিলেন দুখু মিয়া। জীবনভর মানুষের দুঃখ-কষ্ট, শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে লেখনীর মাধ্যমে লড়াই করে গেছেন। মাত্র ৮ বছর বয়সে পিতাকে হারিয়ে অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট সইতে হয়েছে তাঁকে। সেই শিশু বয়সেই তাঁকে নামতে হয় কঠিন জীবন সংগ্রামে। পরিবারের ভরণপোষণের জন্য তিনি শৈশবেই মক্তবে শিক্ষকতা, হাজি পালোয়ানের মাজারে খাদেম ও মসজিদে মুয়াজ্জিনের কাজ করেছেন।
আবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে কাজ করেছেন রুটির দোকানে। যোগ দিয়েছেন সৈন্যবাহিনীতে। যুদ্ধ থেকে ফিরে নিবিষ্ট হয়েছেন কাব্যচর্চায়। তাঁর জীবনের বড় অংশজুড়ে রয়েছে গণমানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। ১৯২১ সালে ‘বিদ্রোহী’ নামে অবিস্মরণীয় কবিতা রচনা করে এক বিস্ময়কর আত্মজাগরণ ঘটান তিনি। আজন্ম বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসা নজরুলের সৃষ্টি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেমন প্রেরণা জুগিয়েছিল, তেমনি স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক-ধর্মান্ধ ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রামেও পথ দেখিয়ে চলেছে।
১৯৪১ সালের শেষের দিকে কবি যখন নন্দিনী চলচ্চিত্রের সঙ্গীত রচনা ও সুরারোপ নিয়ে ব্যস্ত তখন হঠাৎ তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। লুম্বিনী পার্ক ও রাচি মেন্টাল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে এক বছরেরও বেশি সময়। ১৯৫৩ সালে কবিকে পাঠানো হয় ইংল্যান্ড ও জার্মানিতে। কিন্তু ততদিনে সবই শেষ। বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন তিনি। সেই ১৯৫৩ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত নির্বাক ও অসুস্থ অবস্থায় কলকাতায় অনেকটা অনাদরে নীরবে-নিভৃতেই কাটে অপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিভার অধিকারী বিদ্রোহী নজরুলের জীবন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবির জন্মদিনে নির্বাক কবিকে ঢাকায় নিয়ে এসে তাকে জাতীয় কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন। তাঁর কবিতা ‘চল্ চল্ চল্- ঊর্ধ্বগগনে বাজে মাদল-’কে তিনি সামরিক সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত করে কবিকে সম্মানিত করেন। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট তৎকালীন পিজি হাসপাতালের ১১৭ নম্বর কেবিনে চিকিৎসারত অবস্থায় কবি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
একদা কবি তাঁর গানে ‘মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও’ বলে যে বাসনা প্রকাশ করেছিলেন; মৃত্যুর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির অন্তিম শয্যা রচনার মধ্য দিয়ে তা পূর্ণ হলো।
এখনও নজরুলের লাখো ভক্ত তার সেই শেষের কবিতা ‘তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আমি আর জাগিব না, সারা দিনমান কোলাহল করি কারো ধ্যান ভাঙ্গিব না’- উচ্চারণে কবির প্রতি হৃদয় নিংড়ানো শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করেন।
আজ কবির জন্মজয়ন্তীতে তাঁর সমাধিপ্রাঙ্গণ ভরে উঠবে অগণিত ভক্তের নিবেদন করা ফুলে।
বরাবরের মতোই আজ সোমবার সকাল থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে কবির কবরে যাবেন তাঁর অগণিত অনুরাগী। শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার ফুলে ফুলে ঢেকে দেবেন তাঁর অন্তিম শয্যা।
কবি তাঁর ৭৭ বছরের জীবনকালের ৩৪ বছরই ছিলেন নির্বাক (১৯৪২-১৯৭৬)। বেঁচে থাকার জীবন সংগ্রাম, অভাব-অনটন, নানা প্রতিকূলতা, জেলজুলুম ও হুলিয়ার মধ্যেই তাঁর সাহিত্যচর্চার সময় ছিল মাত্র ২৪ বছর (১৯১৯-১৯৪২)। অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী নজরুল এই ২৪ বছরে সৃষ্টি করে গেছেন ২২টি কাব্যগ্রন্থ, সাড়ে ৩ হাজার, মতান্তরে ৭ হাজার গানসহ ১৪টি সংগীত গ্রন্থ, ৩টি কাব্যানুবাদ ও ৩টি উপন্যাস গ্রন্থ, ৩টি নাটক, ৩টি গল্পগ্রন্থ, ৫টি প্রবন্ধ, ২টি কিশোর নাটিকা, ২টি কিশোর কাব্য, ৭টি চলচ্চিত্র কাহিনীসহ অসংখ্য কালজয়ী রচনা। তাই তো একাধারে তিনি কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, শিশু সাহিত্যিক, অনুবাদক, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, সাংবাদিক, গীতিকার, সুরকার, স্বরলিপিকার, গীতিনাট্যকার, গীতালেখ্য রচয়িতা, চলচ্চিত্র কাহিনীকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক, বাদক, সঙ্গীতজ্ঞ, অভিনেতাসহ আরও কত কী।
বাংলা সাহিত্যে যখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বঙ্কিমচন্দ্রের প্রভাব সর্বগ্রাসী, ঠিক তখনই নজরুল সেই প্রভাব বলয় থেকে বের হয়ে স্বাতন্ত্র্য ধারার সূচনার মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যে এক নতুন সঞ্জীবনী গতির সৃষ্টি করেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী কবি তাঁর সমগ্র লেখনীর মধ্যেই ‘সবার উপরে মানুষ সত্য- তাহার উপরে নাই’ এই সত্যটি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
রাষ্ট্রপতির বাণী
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাণীতে বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখতেন। বাঙালির কর্ম, চিন্তা ও মননে কবির অবিনশ্বর উপস্থিতি জাতির প্রাণশক্তিকে উজ্জীবিত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বাণী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বাণীতে বলেছেন, মানবতা, সাম্য ও দ্রোহের কবি নজরুল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ও জাতীয়তাবাদের মূর্ত প্রতীক। অত্যাচার, নিপীড়ন ও শোষণের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ। প্রধানমন্ত্রী কবির ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সব অনুষ্ঠানের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, বাংলাসাহিত্যের কাব্যভুবনে কাজী নজরুলের আবির্ভাব ঘটেছিল ধূমকেতুর মতো, যার দীপ্ত ছটায় উদ্ভাসিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মন ও মনন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তাঁর বাণীতে বলেছেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং তাঁর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। তিনি বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাসাহিত্যের এক অবিসংবাদিত প্রাণপুরুষ। তিনি মনে করেন, নজরুলের ক্ষুরধার লেখনীর মধ্যে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে ক্ষুরধার লেখনী দিয়ে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছিলেন।
স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লায় জাতীয় অনুষ্ঠান
কুমিল্লার সঙ্গে নজরুলের রয়েছে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। এই শহরের মেয়ে প্রমীলা ছিলেন তাঁর জীবনসঙ্গিনী। এই জেলার আরেক নারী নার্গিসকে নিয়ে রয়েছে তাঁর জীবনের আরেক অধ্যায়। নজরুলের স্মৃতিবিজড়িত কুমিল্লাতেই এবার হচ্ছে নজরুল জন্মজয়ন্তীর জাতীয় অনুষ্ঠান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন। কুমিল্লায় প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে জেলার সর্বত্র এখন উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নগরীর টাউন হল মাঠে মঞ্চ নির্মাণ ও পাঁচ হাজার লোকের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি আধুনিক প্যান্ডেলও তৈরি করা হচ্ছে।
জেলা তথ্য কর্মকর্তা মীর হোসেন আহসানুল কবীর জানান, ২৫, ২৬ ও ২৭ মে কুমিল্লায় তিন দিনব্যাপী জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীর কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ ২৫ মে প্রধানমন্ত্রী কুমিল্লা টাউন হল মাঠে জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের আগে ওই মাঠে ভাষাসংগ্রামী রফিকুল ইসলাম মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও সাতটি প্রকল্পের ভিত্তি স্থাপন করবেন।
ত্রিশালে নেই উৎসবের আমেজ
এবার কবির জন্মজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠান কুমিল্লায় হওয়ায় ত্রিশালে লক্ষ করা যাচ্ছে না উৎসবের আমেজ। তবুও অন্য বারের মতো ত্রিশালে কবির জন্মজয়ন্তী উদযাপন করতে প্রস্তুত কবির বাল্য স্মৃতিবিজরিত বিদ্যাপিঠ নজরুল একাডেমি মাঠের নজরুল মঞ্চ ও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। জয়ন্তী ঘিরে আয়োজন করা হয়েছে দুটি ভেন্যুতে পৃথক তিনদিনের ব্যাপক অনুষ্ঠানমালা।
বিকাল সাড়ে ৩টায় নজরুল স্থায়ী মঞ্চে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও জেলা পরিষদের আয়োজনে জাতীয় পর্যায়ে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। স্মারক বক্তৃতা করবেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। স্মারক বক্তব্য রাখবেন কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোহিত উল আলম। বুধবার সকাল ১০টায় আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান। নজরুল স্মারক বক্তৃতা করবেন কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী। কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গাহি সাম্যের গান মঞ্চে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার প্রথম দিনে উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি থাকবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
ঢাবির কর্মসূচি
কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে সকাল সাড়ে ৬টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা সহকারে কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। পরে মাজার প্রাঙ্গণে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ‘নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-অধ্যাপকদের সুচিন্তিত গবেষণা-প্রবন্ধের উপস্থাপনার মাধ্যমে দিনব্যাপী দুই পর্বের ‘জাতীয় সেমিনার’ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। সেমিনারের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে অপরাহ্নে। বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র অডিটোরিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর ইন্টাররিলিজিয়াস এন্ড ইন্টারকালচারাল ডায়ালগ (সিআইআইডি) এবং বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ‘অসাম্প্রদায়িকতা কী এবং কেন?’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। আজ সকাল ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় শায়িত কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন, সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষ থেকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
চ্যানেল আই
নজরুল মেলা ও সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করবে চ্যানেল আই। সকাল ১১টায় শুরু হবে এ মেলা।
অন্যান্য কর্মসূচি
নজরুলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিসহ বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
ঢাকাসহ জাতীয় কবির স্মৃতিবিজড়িত ময়মনসিংহের ত্রিশাল এবং চট্টগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন করা হবে।
এবার কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘কুমিল্লায় নজরুল’। নজরুল ইন্সটিটিউট ও বাংলা একাডেমি জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করবে। ঢাকাসহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিবসটি যথাযোগ্যভাবে উদযাপন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ এ উপলক্ষে কর্মসূচি গ্রহণ করবে। যেসব জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে না, সেসব জেলার জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করবে।
জাতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান ও অন্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ সরকারি, বেসরকারি চ্যানেলসমূহ ব্যাপকভাবে সম্প্রচার করবে।