কলকাতার বাঙালিদের প্রতি সুমনের ওপেন চ্যালেঞ্জ
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৯:৫৫,অপরাহ্ন ০২ এপ্রিল ২০১৫
বিনোদন ডেস্ক::
কবির সুমন, এক ভিন্ন জগতের গানওয়ালা। জাদুকরি সুর আর গানের কথায় বাঙালি শ্রোতার মনে এক বিশেষ জায়গা করে নেয়া এক মহান শিল্পী তিনি। অন্যায্যতার বিরুদ্ধে আপোষহীন এক কন্ঠস্বরও বলা যায় তাঁকে। অথচ বেশকিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে চলছে সমালোচনা আরবিতর্ক। কখনো তার গান নিয়ে, কখনো রাজনৈতিক মতাদর্শিতার জন্যে, কখনো ধর্মীয় ইস্যুতে,কখনো বাংলাদেশের প্রতি দুর্বলতা প্রকাশের জন্য। সব মিলিয়ে বলা যায়শিল্পী কবির সুমন এক অস্থির সময়ই পাড় করছেন। সমালোচক আর নিন্দুকের কটুক্তির জবাব বরাবরই গানের মাধ্যমে দিয়ে আসলেও এবার তিনি সরাসারি তাদের চ্যালেঞ্জ জানালেন। যারা তাঁর গানেরসমালোচনা করেন তাদের একেবারে মঞ্চে এসে তাঁকে মোকাবেলা করার আহ্বান করলেন। ২ এপ্রিল তার ফেসবুক ওয়ালে নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে এমন চ্যালেঞ্জই জানালেন এই সংগীত সুধাকর।
কবীর সুমন তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, “যদি বাপের ব্যাটা হন (আমি বেজম্মা, আপনারা তো নন), আমার যা মূল কাজ সেই সঙ্গীতে আপনারা আসুন আমার বিরুদ্ধে। ইচ্ছে করলে কাউকে ভাড়া করেও আনতে পারেন। আমার ৬৭ চলছে। গলায় বয়সের দাগ। তবু, লঘু সঙ্গীত ও রাগসঙ্গীতে আমার সঙ্গে একবার টক্কর দিয়ে দেখুন। একটা তানপুরা থাকবে। আপনাদের শিল্পীরা অর্কেস্ট্রা আনতে পারেন। বাপের ব্যাটাদের ও তাদের সমর্থক মিডিয়াদের আমি আজ অবশেষে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। শ্রোতাদেরও আপনারাই নিয়ে আসুন। ভালো হয়, পক্ষপাতিত্ব এড়ানোর জন্য, অবাঙালি সহনাগরিকদের আনলে।
যে-কোনও একটা বিষয় আপনারাই ঠিক করুন। একদিকে আপনাদের সং রাইটাররা থাকুন, অন্যদিকে আমি। ২ ঘন্টায় একটা নতুন গান বেঁধে গেয়ে শোনাতে হবে। আসুন, যদি বাপের ব্যাটা হন। আসুন, সঙ্গীতে এই বেজম্মা মোল্লার মোকাবেলা করুন। একবার ঠিকঠাক টক্কর দিন। আর হ্যাঁ, জাতিস্মর ছবিতে কবিয়ালদের যে টেক্সটগুলোতে এই কাটুয়া (সত্যিই) মোল্লা সুর করেছিল তার যে-কোনও একটায় একটু সুর করে দেখান, নিরপেক্ষ শ্রোতাদের সামনে গেয়ে দেখান।
নেবেন চ্যালেঞ্জটা? বাঙ্গালি ভদ্রজনেরা?
হলের ভাড়া আমি দেব। সাউণ্ড সিস্টেমও আমার পয়সায়। আপনারা আপনাদের ইঞ্জিনিয়ারদের আনতে পারেন। অনেক বংশপরিচয় দিয়েছেন। এবারে আসুন, আমার আসল ক্ষেত্রে আমার সঙ্গে একবার টক্কর দিয়ে দেখুন। আসুন, বাপের ব্যাটারা যাঁরা আমায় বেজম্মা বলে আর নানান গাল দিয়ে কুৎসা রটিয়ে ফেসবুক ফাটাচ্ছেন। আসুন, বংশপরিচয় আর শিরদাঁড়ার পরিচয় দিন।
আমার বন্ধুরা, একবারও ভাববেন না আমি রেগে গিয়েছি, বা আমার স্বাস্থ্যহানি হবে। আমি রেয়াজে আছি, রেয়াজে থাকব, ইন্শাল্লাহ্। বুড়ো হয়েছি, সুরে কোথাও কম লাগতে পারে কিন্তু তালে ঠিক থাকব। আমার শরীর মন ভালো আছে এবং থাকবে। আমি শান্তিতে আছি, সুখে আছি এবং থাকব।
তাহলে, শিরদাঁড়া-অলা, সুজাতক, ভদ্রদস্তুর, মমতাবিরোধীদের পাল, আমার চ্যালঞ্জটা নিচ্ছেন তো?
আপনারা তো গণতন্ত্রী আর আমরা ফাশিস্ত। ‘গণের’ হাতেই গুণের বিচারটা ছেড়ে দিন। ফেসবুকের বাইরে আসুন। খোলা জায়গায় আসুন।
জার্মান কবি হ্যোল্ডারলিন (এ-মোল্লার বড় প্রিয়) লিখেছিলেন: “Kommt ins Offene, Freunde.” খোলামেলায় এসো বন্ধুরা।
আপনাদের সকলের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক”!!!!