ওসমানীনগরে দেহ ব্যবসার আস্তানায় এলাকাবাসীর অভিযান : নারীসহ আটক ৪
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৬:০৩,অপরাহ্ন ০৫ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক: সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় দেহ ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে উঠতি বয়সের মেয়েদের এনে উপজেলার একাধিক স্থানে অসামাজিক কার্যকলাপের আস্তানা গড়ে তুলেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এলাকার যুব সমাজ-স্কুল-কলেজগামী তরুনরা এসব অসামাজিক কার্যকলাপের দিকে ঝুঁকে বিপদগামী হচ্ছে। অবশেষে বৃহস্পতিবার রাতে এলাকার ৪/৫ গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে অভিযান চালিয়ে উপজেলার দয়ামির এলাকার এসওএস শিশুপল্লীর নিকটস্থ অসামাজিকতার আস্তানা ভেঙে দিয়েছেন। এ সময় মূল হোতা আবদুল বারি পালিয়ে গেলেও নারী ও এক যুবককে আটক করে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃতদের থানা নিয়ে আসে। আটকৃতরা হলো সিলেটের মগলাবাজার থানার পূর্বভাগ জালালপুর গ্রামের রওশন আলীর পুত্র নুর মিয়া (৪৫),ফরিদপুর জেলার কতোয়ালী থানার বেতবাড়িয়া গ্রামের সুরাজ শরীফের মেয়ে হালদী বেগম লিমা (২০),নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার রগুনাথপুর গ্রামের মঈন উদ্দিনের মেয়ে বিলকিছ বেগম (১৮), ওসমানীনগর থানার করনসী গ্রামের লিলি বেগম (১৬)।
স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি উপজেলার একাধিক স্পটে এ সব কার্যকলাপের আস্তানা গড়ে উঠেছে। সাদিপুর ইউনিয়নের গলাচিপা এলাকার আবদুস শহিদ দীর্ঘ দিন ধরে এলাকায় অসামাজিকতার ব্যবসা চালিয়ে আসছে। দয়ামীর এলাকার এসওএস শিশু পল্ল¬ী নিকটে আতাউল্লা গ্রামের কদরিছ আলীর বাসা ভাড়া নিয়ে দয়ামির গ্রামের আবদুল বারি অসামাজিকতার ব্যবসা চালিয়ে আসছেন।
এ নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলেও প্রতিবাদকারী ব্যক্তিদের নারী নির্যাতন মামলার হুমকি দিয়ে যান অসামাজিকার হোতারা। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে মধ্যে রাত পর্যন্ত এসব অসামাজিক স্পটে মাদকসেবী ও নারীদেহলোভীদের ভিড় লেগেই আছে। ফলে ঘটছে সামাজিক অবক্ষয়, অন্যদিকে অসামাজিক কাজে টাকা ব্যায় করতে এলাকায় বাড়ছে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানির মতো একাধিক ছোট-বড় বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
এদিকে শক্রবার বেলা ৩টায় দয়ামীর বাজার ও চক বাজার এলাকার সচেতন মহলের উদ্যোগে অসামাজিকাতার বন্দের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসওএস শিশু পল্লীর পরিচালক মনির আহমদ বলেন,আমরা বিভিন্ন সময় প্রশাসনসহ বিভিন্নজনের কাছে অভিযোগ করেও এর কোনো প্রতিকার পাইনি। আমাদের এখানে প্রায় শতাধিক শিশু থাকে। এদের বিকাসে এই পরিবেশ মারাত্মক প্রভাবে ফেলছে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মুরছালিন অসামাজিকতার অভিযোগে চারজনকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটকৃতদের মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।