উপাচার্যহীন শাবিপ্রবি : ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৫৭:৪০,অপরাহ্ন ২৪ মে ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: প্রায় এক মাস ধরে উপাচার্যহীন অবস্থায় রয়েছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এতে শিক্ষার্থীদের সনদপত্র, অর্থ সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ, উন্নয়ন কাজসহ প্রশাসনিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে আছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কার্যাদেশ দেয়া বন্ধ থাকায় ল্যাবসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এতে বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
শিক্ষকদের সাথে দুর্ব্যবহার, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ এনে ২০ এপ্রিল ৩৭টি প্রশাসনিক পদ থেকে ৩৫জন শিক্ষক পদত্যাগ করেন। একই সাথে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে নানা কর্মসূচি চালিয়ে যেতে থাকেন শিক্ষকরা।
আন্দোলনের মুখে ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষের কাছে দায়িত্ব দিয়ে উপাচার্য দু’মাসের ছুটিতে যান। আর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালনের জন্য কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসের নাম অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠান।
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে পাঠানো হবে সেই ফাইল। কিন্তু প্রায় এক মাসেও সেই ফাইল স্বাক্ষর হয়ে আসেনি।
শাবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। উপাচার্যের পরামর্শ অনুযায়ী ফাইল পাঠানো হলেও সে অর্ডার এখনো আসেনি।
এর ফলে আটকে আছে অনেক জরুরি কার্যক্রম। এমনকি শিক্ষার্থীদের দেয়া যাচ্ছে না সনদপত্রও। এদিকে, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব না পাওয়ায় উন্নয়ন কাজ থমকে আছে।
শাবিপ্রবি প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী সৈয়দ হাবিবুর রহমান বলেন, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পূর্ণাঙ্গ দায়িত্বের বিষয়টি অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। ট্রেজারার মহোদয়ের নিকট না আসা পর্যন্ত এটি অনুমোদন হচ্ছে না।
শুধু উন্নয়ন কাজই নয়, এই জটিলতায় ব্যাহত হচ্ছে অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রমও।
শাবিপ্রবি রেজিস্টার মো. ইশফাকুল হোসেইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম আটকে আছে। পাশাপাশি ক্লাস, পরীক্ষা, ল্যাব এসবও ব্যাহত হচ্ছে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা এক হাজার দুইশ। আর শিক্ষার্থী রয়েছে ১০ হাজারের বেশি।