ইসলামি ব্যাংকের আরো ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:১৬:৪২,অপরাহ্ন ২৭ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
আনন্দ শিপইয়ার্ডের ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ইসলামী ব্যাংকের আরো ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানী টিম।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুদকের উপপরিচালক মীর জয়নাল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বিকেল পর্যন্ত।
জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ইসলামি ব্যাংকের ইভিপি সিআইডি হেড অফিস ২ এর ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী, এসভিপি ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের মঈজ উদ্দীন, ভিপি সিআইডি ২ হেড অফিসের হাসনাইন আবিদ, সাবেক এভিপি দেলোয়ার হোসেন, এভিপি সিআইডি ১- হেড অফিসের মাহমুদ হোসেন খান ও সাবেক এসও ইঞ্জিনিয়ার জাহিদুল ইসলাম।
এদিকে গতকাল দুদকের এ টিম জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইসলামি ব্যাংকের ডিএমডি (অপারেশন) সামশুল হক, সাবেক ইপি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ডিইপি এটিএম হারুন অর রশিদ চৌধুরী, সাবেক ইভিপি সেতাউর রহমান, সাবেক ইভিপি সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সালেহকে।
দুদকের এ টিম থেকে গত ১৯ নভেম্বর তাদের কাছে তলবি নোটিশ পাঠানো হয়।
এর আগে ইসলামি ব্যাংকের গত ১২ নভেম্বর ৭ জন ও ১৩ নভেম্বর ৬ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর আনন্দ শিপইয়ার্ডের এমডি আফরোজা বারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক। তবে এদিন আনন্দ শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ হিল বারীর উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।
জানা যায়, জাহাজ রফতানির নামে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে আনন্দ শিপইয়ার্ড দেশের ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জাহাজ নির্মাণের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও পর্যাপ্ত জামানত ছাড়া এসব ঋণ দেয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শনে এসব জালিয়াতির তথ্য বেরিয়ে আসে।