ইফতারের আদর্শ খেজুর-ফল
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১২:৩০,অপরাহ্ন ২১ জুন ২০১৫
লাইফ স্টাইল ডেস্ক :: সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারিতে ভাজা-পোড়া অনেকেরই অপছন্দ। এক গ্লাস শরবত, খেজুর আর ফল নিমেশেই দূর করে ফেলে সারাদিনের ক্লান্তি। একদিকে স্বাস্থের জন্য যেমন উপকার অপর দিকে ভোর রাতে সেহরি খাওয়ার সময়ও অরুচি ভাব কাটিয়ে দেয়। ইফতারিতে অতিরিক্ত ভাজা-পোড়া খাওয়ার ফলে অনেকেই সেহরি করতে গিয়ে দেখেন খাওয়ার রুচি একেবারেই উধাও হয়ে গেছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবারে অতিরিক্ত তৈলাক্ততা অত:পর বদ হজমের কারণেই এই সমস্যার সূত্রপাত। তারা বলছেন, ইফতারিতে ভাজা-পোড়া যত সম্ভব কম রেখে প্রাকৃতিক শরবত, বিভিন্ন মৌসুমি ফল সাড়াদিন উপবাসের পরে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার এবং দেহে স্বম্তি ও সজীবতা এনে দেয়।
অন্যদিকে খেজুর ছাড়া ইফতার এক প্রকার পানসে। ধনী কিংবা গরিব প্রত্যেকেরই ইফতারে চাই খেজুর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে উতকৃষ্ঠ খাবারের মধ্যে দুধের পরে খেজুরের অবস্থান। তারা বলছেন, একটা মানুষ শুধু খেজুর খেয়ে এক মাস অবধি সুস্থ ভাবেই বেঁচে থাকতে পারবেন। বাংলাদেশে রমজান মাসে খেজুরের আনাগোনা বেশি হলেও বছরের অন্যান্য সময় একেবারে থাকে না বললেই চলে। বাংলাদেশের অধিকাংশ খেজুর আসে সৌদি আরব সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে।
বোখারি ও মুসলিম শরিফের হাদিস অনুযায়ী, রাসুল (সা.) ইফতার করতেন খেজুর ও পানি দিয়ে। নবীজী যে খেজুর খেতেন তার নাম ছিল- ‘আজোয়া’। যার প্রতি কেজি খেজুরের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় বিশ হাজার টাকা। তাছাড়া এ খেজুরে রয়েছে ওষধিগুণ। ‘আজোয়া’ খেজুর বাংলাদেশে পাওয়া না গেলেও অনেকে এর নাম জানে না।
রমজানে রোজা রাখা যেমন প্রয়োজন স্বাস্থের দিকে খেয়াল রাখাটাও ঠিক তেমনটাই প্রয়োজন। স্বাস্থ্য ভাল থাকলেই রোজার পূর্নতা আদায়ে মানসিক শক্তির যোগান হয়। সু-স্বাস্থের জন্য ফল ও খেজুরের জুরি নেই।