আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন: মুসা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:১১:০৭,অপরাহ্ন ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: টাকা পাচারের কথা অস্বীকার করলেন বহুল আলোচিত আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের।
আজ দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার যতো টাকা এর বেশিরভাগই আমি বিদেশে ব্যবসা করে অর্জন করেছি। আমি দেশ থেকে কোনো টাকা বিদেশে পাচার করিনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশ দাঁড়িয়ে আছে রেমিট্যান্সের ওপর ভিত্তি করে। এ খাত যদি সৃষ্টি না হতো, সোমালিয়ার থেকেও খারাপ অবস্থা হতো। সুইস ব্যাংক থেকে আমার টাকা অবমুক্ত হলে তা পদ্মা সেতু নির্মাণ, দুস্থ ও নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসন এবং সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণে ব্যয় করা হবে।’
দুর্নীতির বিষয়ে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যেকোনো পত্রিকার সংবাদ বিচারের জন্য ভাইটাল সোর্স হতে পারে না।’
এর আগে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের উৎস খুঁজতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
জানা যায়, ২০১১ সালে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তবে অজ্ঞাত কারণে দুদকের এই অনুসন্ধান আলোর মুখ দেখেনি। এরপর চলতি বছরের বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে দুদক আবারো নতুন করে অনুসন্ধান শুরু করে।
ফোর্বস ম্যাগাজিন অনুযায়ী, মুসা বিন শমসেরই বাংলাদেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। তার সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১২ বিলিয়ন ইউএস ডলারের ওপরে। তিনি অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক পরিচিত।
১৯৯৭ সালে ডা. মুসা যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে অনুদান দিতে চেয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন। লেবার পার্টির প্রার্থী টনি ব্লেয়ার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য তার ৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
উপমহাদেশের শীর্ষস্থানীয় এই ধনী এক বিলিয়ন পাউন্ড উপার্জন করেছেন বেশিরভাগ ট্যাঙ্ক, যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র বেচাকেনার ব্যবসা করে।