অনলাইনে আয় করে সবলম্বি হওয়ার নিশ্চিত উপায়
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৩৮:১৬,অপরাহ্ন ২২ নভেম্বর ২০১৪
তথ্যপ্রযুক্তি যেস্ক::
অনলাইনে আয় কথাটি আমাদের সবার কাছেই অনেক পরিচিত এবং দিনদিন তা আরো বেশি প্রসারিত হচ্ছে। অনলাইনে আয় করে নিজের ক্যারিয়ার গড়েছে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে। তো যারা নিজেদের ক্যারিয়ার গড়েছে এবং গড়বেন তারা কি সবাই জানেন অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় কোনটি?
অনলাইনে আয় করার অনেক উপায় আছে। তবে তার আগে আপনাকে ভাল ইংরেজি জানতে হবে। কম্পিউটার সম্পর্কে ভাল ভাবে জানতে হবে।
আর ভাল কিছু করতে হলে আপনাকে ওয়েব ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে জানতে হবে যেমন: পিএইচপি, এইচটিএমএল, মাইএসকিউএল, সিএসএস, ফ্লাশ, জাভা স্ক্রিপ্ট দক্ষ হতে হবে। তাছাড়া গ্রাফিক ডিজাইন,
এসইও, ওয়ার্ডপ্রেস, ফটোশপ, ফ্লাশ, আর্টিকেল লেখা, ডেটা এন্ট্রি, ইন্টারনেট মার্কেটিং সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য থাকতে হবে, কারণ এই সব কাজে সফলতা পেতে মাঝে মাঝে অনেক সময় লেগে যায়।
অনেক কাজের কথাই তো বললাম। তবে আপনার জন্য তুলনামূলক একটু সহজ কাজের খবর দেই। আর তা হচ্ছে গুগল এডসেন্স, নিবন্ধ লিখে আয়, ফ্রিল্যান্সিং পেশা।
১. গুগল এডসেন্স:
গুগল এডসেন্স অনলাইনে টাকায় আয় অনেক বড় ও বিশ্বাস একটা পথ। এখানে অনেকেই প্রচুর পরিমাণে টাকা আয় করছে।
গুগল এডসেন্স কিভাবে কাজ করে তা জানা দরকার তাই না?
আপনারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ওয়েব সাইট এ ভিজিট করেন, সে সময় দেখবেন বিভিন্ন পিকচার এ্যাড বা টেক্সলিঙ্ক এ্যাড থাকে এবং তার নিচে লেখা থাকে এ্যাড বাই গুগল। আপনি বা অন্য কোন ভিজিটর ঐ পিকচার এ্যাড বা টেক্সলিঙ্ক এ্যাড ক্লিক করলে সাইট এর মালিক তার গুগল এডসেন্স একাউন্টে নিদিষ্ট পরিমাণ ডলার জমা হয়ে যায়।
আপনার একাউন্ট এ এক এডসেন্স ১০০ ডলার জমা হলে আপনি টাকা আনতে পারবেন। আর এটা চেক আর মাধ্যমে আনতে পারবে এবং যে কোন ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এডসেন্স প্রোগ্রাম গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল মাধ্যম হচ্ছে গুগল এডসেন্স।
এদের পেমেন্ট ব্যবস্থাও অনেক ভাল এদের নামে এখন পর্যন্ত কোন খারাপ রিপোর্ট বেড় হয় নি। আসলে এটা সবচেয়ে বড় সার্চ ইঞ্জিন গুগল এর একটি প্রোগ্রাম। তাই খারাপ হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
গুগল এডসেন্স আয় করতে হলে আপনা থাকতে হবে নিজের একটা ওয়েব সাইট/ব্লগ বা ব্লগ। এবং শুধু ওয়েব সাইট বা ব্লগ থাকলে যে সব হয়ে হয়ে গেল তা না, আপনার ওয়েব সাইট প্রচুর ভিজিটর থাকতে হবে।
মিনিমাম প্রতিদিন ৭০০- ৮০০ ভিজিটর থেকে এর উপরে, তাছাড়া ভাল আয় করা সম্ভব না। এখন আপনার ওয়েব সাইট/ব্লগ যাই থাক আপনাকে প্রতিদিন মিনিমাম প্রতিদিন ৭০০- ৮০০ ভিজিটর রাখতে হবে।
ওয়েব সাইট বা ব্লগ থাকুক না কে আপনাকে অনেক ভাল ইংলিশ ভাল হতে হবে, কারণ বিডভারটাইজার ও গুগল এডসেন্স বাংলা সাইট এ সাপোর্ট করে না তাই আপনার ব্লগ বা ওয়েব সাইট হবে সম্পূর্ণ ইংলিশে।
আপনাকে ওয়েব প্রোগ্রামিং [সিএসএস, পিএইচপি, এইচটিএমএল] সম্পর্কে ভাল ধারনা থাকতে হবে যাতে আপনি আপনার সাইট বা ব্লগকে ভাল ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ব্লগে লেখার হাত ভাল হতে হবে।
আপনার লেখার হাত যদি ভাল না হয় তবে আপনি অনলাইনে থেকে আয় করা সম্ভব হবে। ভাল মানের লেখা লিখতে হবে, এবং লেখা অবশ্যই ইউনিক হতে হবে, কোন জায়গা থেকে কপি পেস্ট করে কিছু করতে পারবেন না।
২. নিবন্ধ লিখে আয়:
কিছু ব্লগ বা সাইট আছে যাতে আপনি পোস্ট দিয়ে আয় করতে পারেন। আসলে এটা এমন যে আপনি যখন আপনি যখন কোন পোস্ট দিবেন ঐ সাইটে তখন এই সাইটের যা আয় হবে তার নির্দিষ্ট একটা অংশ আপনাকে দিবে। এর মধ্যে সব জনপ্রিয় ২টি সাইট । এদের পেমেন্ট সিস্টেম অনেক ভাল। তবে এগুলোতে পোস্ট দিতে হলে আপনাকে অনেক ভাল ইংলিশ জানতে হবে।
পোস্ট কোয়ালিটি অনেক হাই হতে হবে। পোস্ট অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। আর ভাল ভাবে জানতে সাইট দুটি ভাল ভাবে ঘাটেন। আর আমি পরে এগুলো নিয়ে আর আলোচনা করবো।
৩. ফ্রিল্যান্সিং পেশা:
আমাদের দেশে অনলাইন ভুবনের তরুণদের কাছে বহুল আলোচিত বিষয়ের একটি হচ্ছে অনলাইন আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে পুরোপুরি বদলে দিতে সক্ষম হয়েছেন অনেকেই।
পড়ালেখার পাশাপাশি বা পড়ালেখা শেষে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং করে যে কেউ গড়ে নিতে পারেন আপনার নিজের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার। যদিও আমাদের দেশে এখনও এ বিষয়টি অনেক এগিয়ে।
এরই মধ্যে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্যকে সম্পূর্ণরূপে পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছেন। পড়ালেখা শেষে বা পড়ালেখার সাথে সাথে ফ্রিল্যান্সিং করে গড়ে নিতে পারেন আপনার ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার।
উন্নত দেশগুলো কাজের মূল্য কমানোর জন্য আউটসোর্সিং করে থাকে এবং তারা ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ কে বেশি কাজ দিতে চায় কারণ তারা কম মূল্য কাজ গুলো করিয়ে নিতে পারে। তবে আমাদের চেয়ে ভারত এবং পাকিস্তান সেই সুযোগ টিকে খুবই ভালভাবে কাজে লাগিয়েছে।