অতি বেগুনি আলোর ছবিতে আমরা যেমন দেখি!
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:০২:৫৭,অপরাহ্ন ২৪ মার্চ ২০১৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:: খোলা চোখে কিংবা সাধারণ ক্যামেরায় তোলা ছবিতে আমরা নিজেদের কিংবা চারপাশের চেনা-অচেনা মানুষের চেহারা দেখে বিমোহিত হই। মানুষের অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হই; কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মির আলোকচিত্রে দেখা গেছে আমরা আসলে দেখতে কেমন।
মানুষের চেহারা আমরা যেমন দেখি,আসলে তেমনটা নয়, চমকে ওঠার মতো সেই ছবি। ফটোগ্রাফার পিয়েরে-লাউস ফেরের অতি বেগুনি রশ্মিকে কাজে লাগিয়ে বেশ কয়েকজন মডেলের ছবি তুলে চমকপ্রদ এই তথ্য উদঘাটন করেছেন। অতি বেগুনি রশ্মি এক প্রকার তড়িত্-চুম্বকীয় বিকিরণ। এই রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য দৃশ্যমান আলোর চেয়ে ছোট এবং রঞ্জন রশ্মির চেয়ে বড় (৪০০ ন্যানোমিটার থেকে ১০ ন্যানোমিটার)। দৃশ্যমান আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ৭০০-৪০০ ন্যানোমিটার।
যে রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য যত কম তার শক্তি তত বেশি। এ কারণে অতি বেগুনি রশ্মির শক্তি দৃশ্যমান আলোর চেয়ে বেশি। অতি বেগুনি রশ্মির এই অধিক শক্তির কারণে মানুষের দেহে এই রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাবও অনেক বেশি। সেই ক্ষতি সাধারণত খোলা চোখে দেখা যায় না। তবে অতি বেগুনি রশ্মি মানব দেহে যেসব ক্ষতি করে তা ফুটে উঠেছে অতি বেগুনি রশ্মির আলোকচিত্রের কিছু নমুনায়। অতি বেগুনি রশ্মির কারণে ত্বকে ক্ষতিকর ক্যান্সার সৃষ্টি হয়। ফটোগ্রাফার পিয়েরে-লাউস ফেরের তোলা ছবিতে ক্যান্সারে আক্রান্ত ত্বকে অজস সাদা-কালো স্পট দেখা যায়।
অতি বেগুনি রশ্মি কীভাবে ত্বকের ক্ষতি করে বিজ্ঞানীরা আগেই সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন। সাধারণত তীব্র রোদে ক্রিয়াশীল হয়ে ওঠে অতি বেগুনি রশ্মি ‘এ’ এবং অতিবেগুনি রশ্মি ‘বি’। এরপর এই ক্ষতিকর রশ্মিগুলো ত্বকের কোষগুলোকে বুড়িয়ে দিতে থাকে। ত্বকের টিউমারের জন্যও দায়ী এই অতি বেগুনি রশ্মি ‘এ’ এবং অতি বেগুনি রশ্মি ‘বি’। তবে অতি বেগুনি রশ্মি ‘সি’ অন্য দুইটি অতি বেগুনি রশ্মির চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতিকর। এই রশ্মি মানুষের দেহে ক্যান্সারের সৃষ্টি করে। এছাড়া মানুষের চোখেরও ব্যাপক ক্ষতি করে।
সূত্র-ডেইলি মেইল।