আন্ডারটেকেন দিলেন মূসা বিন শমসের
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:১৪:১৪,অপরাহ্ন ২১ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছে ব্যবসায়ী মূসা বিন শমসের আন্ডারটেকেন দিয়েছেন তার বক্তব্য তার টাকা ফেরত আনতে পারলে সেই টাকা পদ্মা সেতু ও অন্যান্য সেবামূলক কাজে তিনি ব্যয় করবেন।
মুসা বিন শমেসের লিখিত দিয়ে বলেন, সুইস ব্যাংকে আমার ৫১ হাজার কোটি টাকা রয়েছে। ওই টাকা নিয়ে মামলা চলছে। ওই মামলা শেষ হলে টাকা আমি ফেরত পাবো। ওই টাকা ফেরত পাওয়ার পর এর একটি অংশ দেশের দ্বিতীয় পদ্মা সেতুর জন্য দেব। এটা কেবল আমার একার বিনিয়োগ নয়। পদ্মা সেতু হবে এটাও আমার বাবার স্বপ্ন ছিল। বাকি টাকা আমি বিভিন্ন মানুষের জন্য ব্যয় করবো। সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারী, বৃদ্ধ ও অসহায় মানুষের কল্যাণের জন্য ব্যয় করবো।
মূসা বিন শমসের এই আন্ডার টেকের মাধ্যমে এই টাকা এখন দুই খাতে দিয়ে এসেছেন। ওই টাকার কোন অংশ তিনি রাখবেন এমন কিছু বলেননি। ফলে ওই টাকা এখন দুদক ফিরিয়ে আনলেও তার ইচ্ছে অনুযায়ী কাজে ব্যবহার করতে পারবে। এই ব্যাপারে মূসা বিন শমসের কোনো আপত্তি করতে পারবেন না।
দুদক এই টাকা ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নিবেন। এই ব্যাপারে মূসা বিন শমসেরও সার্বিক সহায়তা করবেন বলেও তারা আশা করছেন।
উল্লেখ, এই টাকার ব্যাপারে ইতোমধ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে। এরই অংশ হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি দিয়েছে।
সূত্র জানায়, সুইস ব্যাংকে মুসা বিন শমসের দীর্ঘদিন ধরেই লেনদেন করছেন। তার বেশির ভাগ সম্পদ তিনি দেশে রাখেন না। সুইস ব্যাংকে তার আয়ের বড় অংশ জমা হয়। তার জনশক্তি রপ্তানি ব্যবসা ডেটকো নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
তিনি সবচেয়ে নিরাপদ মনে করে সুইস ব্যাংকে সব রাখলেও সেখানেই তা অনিরাপদ হয়ে উঠে। তারা তা দখলে নিয়েছে ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে। তার ব্যাংক হিসাব যখন জব্দ করে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তখন ব্যাংকে তার ৭ বিলিয়ন ডলার জমা ছিল। এছাড়াও ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে আটকা পড়ে ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের তৈরি ৭৫০০ হীরের খন্ডের তৈরি কলম, এছাড়াও আটকা পড়ে একটি ঘড়ি। ভল্টে তার আরো দামী দামী গহনা রয়েছে।