গোয়েন্দা জালে বিএনপির শতাধিক নেতা
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:২৬:৩৩,অপরাহ্ন ১২ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের সরকারবিরোধী সম্ভাব্য আন্দোলন কর্মসূচি মাথায় রেখে আগাম তৎপরতা শুরু করতে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্দোলনের নামে বিরোধীজোটের নেতাকর্মীরা যাতে সারাদেশে সহিংসতা-নাশকতা ঘটাতে না পারে, এ ব্যাপারে এখন থেকেই সর্তক অবস্থানে রয়েছে র্যাব-পুশিলসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। একইসঙ্গে গোয়েন্দা তৎপরতাও বাড়ানো হয়েছে।
আইনশৃঙখলা বাহিনীর দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াত জোট ‘শান্তিপূর্ণ’ কর্মসূচির নাম দিয়ে মাঠে নেমে আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যেই ঢাকাসহ সারাদেশের রাজপথ উত্তপ্তের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাবে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। সরকারবিরোধী আন্দোলনকালে আন্দোলনের বড় ইস্যু খুঁজে পাওয়ার চেষ্টায় বিরোধীমত নিজেরাই সহিংসতার পাশাপাশি নানা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট হতে পারে, এমন তথ্যও রয়েছে গোয়েন্দাদের হাতে।
সূত্রের দাবি, সরকারের দুটি গোয়েন্দা সংস্থা এ ব্যাপারে তাদের প্রতিবেদনও জমা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইনশৃঙখলা বাহিনীর প্রতি কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানায়, ঢাকায় সম্ভাব্য নাশকতা-সহিংসতায় প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নিজেদের সংশ্লিষ্ট করতে পারেন, বিএনপি-জামায়াতের এমন শতাধিক নেতার একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
ওই তালিকায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য থেকে শুরু করে অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা এমনকী ঢাকা মহানগরীর ওয়ার্ড পর্যায়ের একাধিক নেতার নাম রয়েছে। ‘তালিকাভূক্ত’ ওই শতাধিক নেতাকে এরই মধ্যে গোয়েন্দা নজরদারির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এসব বিষয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেছেন, অন্দোলনের নামে কেউ নাশকতার চেষ্টা চালালে তা দমন করতে সবধরনের প্র¯‘তি আছে র্যাবের। অবৈধ অস্ত্রধারীদের বির“দ্ধে র্যাবের অভিযানও চলমান। সহিংসতা-নাশকতারোধে র“টিন ওয়ার্কের বাইরেও র্যাব আগের চেয়ে বেশি তৎপর।
অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, বিরোধীজোটের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার আগেই কঠোর অবস্থানে যাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ শিগগিরই শুর“ করা হতে পারে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান। সন্ত্রাসদমনে রাজশাহী, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নারায়নগঞ্জ,বগুড়া, নোয়াখালী এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় চালানো হতে পারে বিশেষ অভিযান।