সুবিধা পাবেন লাখো শ্রমিক
প্রকাশিত হয়েছে : ৪:৪১:৩৮,অপরাহ্ন ১৮ নভেম্বর ২০১৩
নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য চালু করা হয়েছে গোষ্ঠী বীমা। সোমবার সচিবালয়ে জীবন বীমা করপোরেশন ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে। ফলে গোষ্ঠী বীমার আওতায় আসবেন লাখো লাখো শ্রমিক।
এ বীমা প্রকল্প চালু হওয়ায় নির্মাণ শ্রমিকরা ১ হাজার ৩০০ টাকা মাসিক প্রিমিয়াম করতে পারবেন। বীমার মেয়াদ পাঁচ বছর। এর মধ্যে ৪৫০ টাকা দেবে শ্রমিক সরকারের পক্ষ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন ৮৫০ টাকা দেবে।
বীমাকারী কোনো শ্রমিক মারা গেলে তার পরিবার ২ লাখ টাকা পাবেন। একই সঙ্গে তিনি যদি শারীরিকভাবে কর্মক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন তাও ২ লাখ টাকা পাবেন। হাত, পা বা চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১ লাখ টাকা পাবেন।
এদিকে সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন বীমা সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্টির নিরাপত্তা নিশ্চিতের মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাবে বীমা, সফলতায় নতুন মাত্রা পাবে দেশের অর্থনীতি।
শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন,”দেশে লাখো লাখো শ্রমিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত। তাদের নিরাপত্তার জন্য সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে। বীমাশিল্প এবং অর্থনীতির জন্যে এটি একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।”
জীবন বীমা করপোরেশনের উপমহাব্যবস্থাপক আবুল বাসার ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান এ চুক্তিতে সই করেন। এ সময় শ্রমমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, প্রতিমন্ত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, সচিব মিকাইল শিপার, জীবন বীমা করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরীক্ষিত দত্ত চৌধুরি উপস্থিত ছিলেন।
সচিব মিকাইল শিপার জানান, ১৬৮ জন শ্রমিকের বীমা কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এটি শুরু করা হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যে এ সংখ্যা দু থেকে তিনগুণ হবে।
নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য ‘গোষ্ঠী বীমা’ চালু করায় লাখো শ্রমিকের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে বলে মনে করছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। সরকারের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বীমা মালিকদের এ সংগঠনটি।
এ প্রসঙ্গে মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স এর চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আহমেদ পরিবর্তনকে বলেন,”লাখো শ্রমিক বঞ্চিত রেখে দেশ এগুতে পারে না। আজ আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে।”
পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বি এম ইউসূফ আলী বলেন,”নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। শ্রমিকদের এ বীমা শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”