হেসেখেলে টাইগারদের সিরিজ জয়
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৪৭:০০,অপরাহ্ন ২৬ নভেম্বর ২০১৪
স্পোর্টস ডেস্ক: দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয় করলো টাইগাররা। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের দেয়া ২৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১৭৩ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ফলে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। আর এ জয়ের মাধ্যমে সিরিজ জয় করলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের করা ২৯৭ রানের বিশাল রানের নীচে চাপা পড়ে সেখান থেকে আর বেরই হতে পারেনি এলটন চিগুম্বুরারা। পুরো ৪০ ওভারও খেলতে পারেনি মাশরাফি-রুবেল-সাকিব আর আরাফাত সানিদের সামনে। ৩৯.৫ ওভারে ১৭৩ রান তুলতেই সব ক’টি উইকেট হারিয়ে বসে আফ্রিকান দেশটি।
দ্বিতীয় ম্যাচের মত তৃতীয় ম্যাচেও ৪ উইকেটের দেখা পেলেন সিলেটের স্পিনার আরাফাত সানি। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার মাশরাফি এবং রুবেল হোসেন। একটি করে উইকেট নিলেন সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
মাশরাফির জোড়া আঘাতেই মূলত জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরু। বাংলাদেশের ২৯৭ রানের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মাশরাফি তোপের শিকার হয় সফরকারীরা। মাত্র ৬ বল খেলে দুটি বাউন্ডারিতে ৯ রান করা ভুসিমুজি সিবান্দাকে আর বিপজ্জনক হয়ে উঠতে দিলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক।
মাশরাফির বাউন্সার পুল করতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন সিবান্দা। লং লেগে অনেক দুর দৌড়ে গিয়ে বল তালুবন্দী করলেন আরাফাত সানি। ফলে ৯ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন ঘটলো জিম্বাবুয়ের।
সিবান্দাকে তুলে নিয়েই ক্ষান্ত হলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। টার্গেট করলেন জিম্বাবুয়ের সেরা ব্যাটসম্যান হ্যার্মিল্টন মাসাকাদজাকে এবং পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন। তারপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানলেন রুবেল। অষ্ঠম ওভারের শেষ বলে রুবেলের বলে ব্যাট চালিয়ে মাশরাফির হাতে তালুবন্দী হয়ে ফেরেন মারুমা।
তৃতীয় উইকেটের পর ব্রেন্ডন টেলর আর সলোমন মিরে মিলে গড়েন ৪১ রানের জুটি। এই জুটির ওপরই কিছুটা ভরসা ছিল সফরকারীদের। কিন্তু সাকিব আল হাসান যখন স্বরূপে আভির্ভূত হন, তখন জিম্বাবুয়ে কেন আর কেউই তো দাঁড়াতে পারে না। পারেননি ব্রেন্ডন টেলরও। তবে তার আগেই জুটিতে ভাঙ্গন ধরান আরেক স্পিনার আরাফাত সানি।
তার ঘুর্ণিতে ১২ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সলোমন মিরে। এর একটু পরই ব্রেন্ডন টেলরকে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলেন সাকিব আল হাসান। ৪০ বলে ২৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জিম্বাবুয়ের টেস্ট অধিনায়ক।
পর পর দুই উইকেটের পতনেও সাহস না হারিয়ে লড়াই করার চেষ্টা করেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা। সঙ্গে নেন রেগিস চাকাভাকে। কিন্তু তার সঙ্গীই শেষ পর্যন্ত স্পিন ঘুর্ণির সামনে টিকতে না পেরে উইকেট বিলিয়ে দিলেন। দলের ১১৯ রানের মাথায় মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে গেলেন রেগিস চাকাভা। ব্যাট হাতে তিনি সংগ্রহ করেন ৩৪ বলে ১৪ রান।
চাকাভা ফিরে যাওয়ার পর পিটার মুরকে নিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন চিগুম্বুরা। কিন্তু পেসার রুবেল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে মাত্র ২ রান করে ফিরে যান পিটার মুর। এরপর মাদজিবাকে নিয়ে ২৭ রানের জুটি গড়েন চিগুম্বুরা। ৩৬তম ওভারে এসে হঠাৎই ঝড় তোলেন আরাফাত সানি। পর পর দুই বলে ফিরিয়ে দেন মাদজিবা এবং পানিয়াঙ্গারাকে।
শেষ উইকেট জুটিতেও ২০ রান তুলেছে চিগুম্বুরা এবং কামুনগোজি। সবশেষে সেই আরাফাত সানির ঘুর্ণির সামনেই উইকেট হারাতে হলো কামুনগোজিকে, ব্যাক্তিগত ৪ রানে। সর্বোচ্চ ৫৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরা।