ইসরাইলে আতঙ্কের আরেক নাম ‘মোহাম্মদ দেইফ’
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৫৪:৩৯,অপরাহ্ন ২১ নভেম্বর ২০১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক::
গাজায় প্রতিরোধ আন্দোলনের সিংহপুরুষ হামাসের সামরিক শাখা ইজেদ্দিন আল কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ। এ পর্যন্ত পাঁচবার তাকে লক্ষ্য করে ইসরাইল হামলা চালায়। প্রতিটি আক্রমণ থেকে নিখুঁত উপায়ে বেঁচে যান তিনি।
ইসরাইলের স্বরাষ্টমন্ত্রী গিডিওন সার জানান, ওসামা বিন লাদেনের মতোই মৃত্যু পাওনা হয়ে গেছে দেইফের। সে একজন বড় মাপের খুনি এবং যতক্ষণ আমরা সুযোগ পাবো তাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। ইসরাইলের জন্য দেইফ এক আতংকের নাম।
ইসরাইলের সেনা-ক্ষয়ের নায়ক মুহাম্মাদ দেইফকে ইসরাইলের জনগণের কাছে অনেকটা আড়াল রেখেছে তেল আবিবের কঠোর শাসনে থাকা গণমাধ্যমগুলো। যার কারণে এত বড় পরাজয়ের মুখে সেই কমান্ডার মুহাম্মাদ দেইফকে ‘ছায়াচ্ছন্ন’ করে রেখেছে ইসরাইল।
ফিলিস্তিনের জনগণের কাছে চ্যাম্পিয়ন এই কমান্ডারের পরিচয় তিনি একজন সামরিক পণ্ডিত, যার আরেক পরিচয় গেরিলা যুদ্ধের ছাত্র। সামরিক এ প-িতের ঘোষণা, গাজা উপত্যকার ওপর থেকে আট বছরের অবরোধ তুলে না নিলে যুদ্ধবিরতি হবে না।
১৯৬৫ সালে গাজার খান ইউনুস শহরের এক উদ্বাস্তু শিবিরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০ বছর ধরে তিনি হামাসের সামরিক অভিযানের সঙ্গে জড়িত। তার নেতৃত্বে বহু হামলা হয়েছে ইসরাইলের ওপর। বহু হামলার পরিকল্পনা তিনি করেন। ইসরাইলের সেনা অপহরণের নেতৃত্ব কিংবা পরিকল্পনা নিয়ে তিনি কাজ করেছেন, হাতে নেন গাজার অভ্যন্তরে টানেল নির্মাণের এক কঠিন প্রকল্প যাতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে রকেট হামলা চালানো যায় সহজেই।
সময়ের ব্যবধানে ২০০২ সালে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদিন আল-কাসসাম ব্রিগেডের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় দেইফকে। ইসরাইলের হাতে পূর্বসুরি সালাহ শেহাদের’র শাহাদাতের পর তিনি এ দায়িত্ব পান। দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই দীর্ঘদিন ধরে দেইফ গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেন। তারও আগে ১৯৮০’র দশকে তিনি ইসলামি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন।
বলা হয়, ২০০০ সালে যখন দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শুরু হয় তখন তিনি ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে পরিচালিত কারাগার থেকে মুক্তি পান অথবা কারা ভেঙে বের হতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয় ইসরাইল। হামাসের সামরিক শাখার প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরপরই ইসরাইল পঞ্চমবারের মতো হামলা চালায় তার ওপর।
সে হামলা ব্যর্থ হয়। পঞ্চমবারের হামলায় মুহাম্মাদ দেইফ মারাত্মকভাবে আহত হন। হামলার পর গুজব ছড়ায়, তার পা ও দেহের নিচের অংশ প্যারলাইজড হয়ে গেছে। এরপর তিনি আড়ালে চলে যান। ্আড়ালের জীবন সম্পর্কে আর কিছু জানা যায় না।