মিয়ানমার হতে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশীদের মধ্যে সুনামগঞ্জ ৪ এবং হবিগঞ্জের ১ জন
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৪৫:৪৯,অপরাহ্ন ১১ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: মিয়ানমার থেকে গত সোমবার দেশে ফিরিয়ে আনা ১৫০ জনের মধ্যে ১২২ জনকে যাচাই-বাছাই শেষে নিজ জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অপর ২৪ জনের বয়স ১৮ বছরের নীচে হওয়ায় তাদেরকে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের জন্য রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির জিম্মায় হয়েছে। বাকী ৪ জনের মধ্যে দুই জন মিয়ানমার নাগরিক ও অপর দুই জন বিভিন্ন মামলার আসামী। তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
বুধবার সকালে কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন এ তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ জানান, ফিরিয়ে আনারা দেশের ১৭ জেলার বাসিন্দা। পাচারের শিকার ব্যক্তিরা জেলা পর্যায়ে মানবপাচার আইনে মামলা করবেন।
ফিরিয়ে আনা দলটির মধ্যে একরাম হোসেন নামের চকরিয়ার এক বাসিন্দা বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এতে ‘দালাল হামিদ’কে প্রধান আসামী করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আরো ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী দেখানো হয়েছে। কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মতিউল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, উক্ত মামলায় দালাল হামিদসহ দুইজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে মিয়ানমার জলসীমায় ২০৮ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করে দেশটির নৌ-বাহিনী। ২৯ মে আরো ৭২৭ জন উদ্ধার হয়। এদের মধ্যে যাচাই বাছাই শেষে গত সোমবার ১৫০ জন বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে আনা হয়। তবে দেশে আনার পর তাদের পরিচয় সম্পর্কে আবারো যাচাই বাছাই করা হয়। এতে ২ জন মিয়ানমার নাগরিক এবং অপর দুইজন মানব পাচারকারী দালাল হিসাবে সনাক্ত করা হয়।
ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশীদের মধ্যে ১৭ জেলার বাসিন্দা রয়েছেন। এর মধ্যে কক্সবাজার জেলার ৩৩ জন, বান্দরবান জেলার ১০ জন, চট্টগ্রাম জেলার ৭ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ জন, ঝিনাইদহের ১২ জন, পাবনার ৫ জন, টাঙ্গাইলের ৩ জন, সুনামগঞ্জ জেলা, বাগেরহাট জেলা ও চুয়াডাঙা জেলার ৪ জন করে, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ি ও যশোর জেলার ২ জন করে এবং নাটোর, চাঁদপুর ও হবিগঞ্জ জেলার ১ জন করে বাসিন্দা রয়েছেন।