বর্ণিল আয়োজনে হেলসিঙ্কিতে রূপসী বাংলার নববর্ষ উদযাপন
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪০:৪৬,অপরাহ্ন ১০ মে ২০১৫
মাইনুল ইসলাম, হেলসিঙ্কি:: চিরাযত ঐতিহ্যকে ধারণ করে হাজার হ্রদ আর সান্তা ক্লসের দেশে উদযাপিত হলো বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ-১৪২২ । অসাম্প্রদায়িক চেতনার সমৃদ্ধ বাংলা নববর্ষ উৎসব সার্বজনীনতার প্রতীক। আবহমান বাংলার শ্বাশত ঋতু বৈচিত্রের ধারাবাহিকতায় বাংলা নববর্ষ নিয়ে আসে নতুন দিনের আবাহন। স্বদেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে প্রবাস জীবনেও নববর্ষের চেতনাকে বুকে ধারন করে দেশ মাতৃকার কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। কেবল দেশে নয়, জীবন জীবিকার তাগিদে প্রবাসে যেখানে বাঙালির অবস্থান, সেখানে বেজে উঠবে আবহমান বাংলার সুর- “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো…।” কথাগুলো বলেন ফিনল্যাণ্ড প্রবাসী বাংলাদেশীদের সামাজিক সংগঠন রূপসী বাংলার সভাপতি জনাব মাইনুল ইসলাম।
সংগঠনের সম্পাদক মোস্তাক সরকারের স্বাগতিকতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুইডেনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জনাব মোহম্মদ গোলাম সরওয়ার তার বক্তব্যে দেশের বর্তমান অগ্রগতিতে প্রবাসীদের অবদানের ভুযশী প্রংসা করেন এবং প্রবাসীদেরকে দেশের শুভেচ্ছা দূত হিসাবে বিদেশের মাটিতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জলে অগ্রণী ভূমিকা পালনের আহবান জানান।তিনি তার বক্তব্যে প্রবাসীদেরকে দেশে বিনিয়োগের ও আহবান জানান এবং এই জন্যে দুতাবাসের তরপ হতে সর্বত সাহায্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়া ফিনল্যাণ্ড প্রবাসীদের দুতাবাস কার্যক্রম স্টকহোমের পরিবর্তে মস্কোতে স্থানান্তরের কার্যক্রম স্থগিতের জন্য সব রকমের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
মেলায় হেলসিঙ্কি সহ ফিনল্যান্ড -এর বিভিন্ন শহর হতে বাঙালিরা জড়ো হন রূপসী বাংলার নববর্ষের এই মনোরম আয়োজনে। কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ,গবেষক, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, মিডিয়া প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের বাঙালি সমবেত হন অনুষ্ঠানে।
রূপসী বাংলার নববর্ষ উদযাপনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল হেলসিঙ্কিস্থ বাংলাদেশ সঙ্গীত স্কুল এর শিক্ষার্তিদের মনোজ্ঞ সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অবিরা ন্যান্সির পরিচালনায় এই শিল্পীগোষ্ঠী নববর্ষের সঙ্গীত, আবৃতি, নৃত্য পরিবেশন করে নতুন বছরকে স্বাগত জানান। এতে বিশেষ আকর্ষণ হিসাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন লন্ডন হতে আগত জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী মনি ও দিলু, তাদের সহযোগিতা করেন হেমন্ত এবং ডগলাস। এতে আরো সঙ্গীত পরিবেশন করেন ফিনল্যাণ্ড-এর স্থানীয় শিল্পী আব্দুল লতিফ, মহিউদ্দিন প্রিন্স এবং সাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ ।
বৈশাখে হেলসিঙ্কির চমৎকার আবহাওয়ায় মেলা প্রাঙ্গন পরিণত হয় হাজার বছরের ঐতিহ্যের পরিপূরক বাঙালি সাজে। বাঙালি পোশাকে তরুণ-তরুণীরা ঝাঁকে ঝাঁকে রাস্তায় নেমে পড়ায় ভিনদেশীরাও কৌতুহলী দৃষ্টি প্রসারিত করেন। এই ছাড়া মেলায় মুড়ি-মুড়কি, বিভিন্ন ধরনের পিঠা, পান্তা-ইলিশ, মশলাযুক্ত বাঙালি খাবার, মিষ্টান্ন পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রাণবন্ত নববর্ষ উৎসব আয়োজন।
-খবরের ছবি গুলো মোস্তফা আজাদ বাপ্পী ও তানভির অপুর সৌজন্যে প্রাপ্ত