থাইল্যান্ডের জঙ্গলে মানবপাচারকারী চক্রের আরও ৬০টি ক্যাম্পের সন্ধান
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:২৮:১১,অপরাহ্ন ০৪ মে ২০১৫
প্রবাস ডেস্ক :: থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া সীমান্তের গভীর জঙ্গলে আরো অন্তত ৬০টি মানবপাচারকারী ক্যাম্প পাওয়া গেছে। এ ক্যাম্প তেকে জীবিত ফেরত আসা একজন দাবি করেছেন, এসব ক্যাম্পে অন্তত ৫০০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের অধিকাংশই বাংলাদেশি ও থাই নাগরিক। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানা যাচ্ছে।
থাই জঙ্গল থেকে যে ২৬ জনের লাশ উদ্ধার করে পরে দাফন করা হয়েছে, এর মধ্যে একজন ছিলেন যার নাম কাজিম। তাকে উদ্ধারের জন্য মুক্তিপণও দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু তাকে জীবিত উদ্ধার করা যায়নি। ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা এ অভিবাসী বলেছেন, কাজিমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে অরুণা নামে এক পাচারকারী। তিনি নিজের চোখে সেটা দেখেছেন। তিনিই থাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তের বিভিন্ন ক্যাম্পে এরকমভাবে অন্তত পাঁচশ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।
এ অভিবাসীর নাম প্রকাশ করেনি থাই গণমাধ্যম। তিনি মাস ছয়েক অগে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রলোভনে পড়ে যাত্রা করেছিলেন। কাজিম আর তিনি একই ক্যাম্পে থাকতেন। পাশাপাশি এরকম আরো বেশ কিছু ক্যাম্পে অন্তত ৭’শ তেকে ৮’শ অভিবাসী থাকতো বলে জানিয়েছেন তিনি। তাকে উদ্ধার করতে তার মাকে মেষ আশ্রয়স্থলটুকু বিক্রি করতে হয়েছে।
কাজিমকে উদ্ধারেও মুক্তিপণের টাকা দিয়েছিলেন তার আত্নীয় কুরামিয়া। পাচারকারী অরুণার সাথে কাজিমের মুক্তিপণ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মুক্তিপণের্ টাকা নিয়েই কেটে পড়ে অরুণা। ১২ দিন পরে অরো বিপুল পরিমান অর্থ দাবি করে সে। বিষয়টি পুলিশকে জানায় কুরামিয়া। পরে অরুণা তাকে জানায়, পুলিশকে জানানোর কারনে কাজিমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তারা।