যে কারণে নির্বাচন বর্জন করলো বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৫৬:১৩,অপরাহ্ন ২৮ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: ঢাকার বিভক্ত দুই সিটিসহ চট্টগ্রাম সিটি করপরেশন নির্বাচন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপি এবং তাদের দলীয় সমর্থিত প্রার্থীরা সরে দাঁড়িয়েছেন। ভোট গ্রহণের দিন মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা দক্ষিণের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস ও উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আওয়ালকে পাশে নিয়েই নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পূর্বে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় বিএনপি ও দলের সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম। একইসঙ্গে ক্ষোভে-দু:খে রাজনীতি থেকে অবসরেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বয়কটের প্রধাণ কারণ হিসিবে সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কারচুপির অভিযোগ করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। নির্বাচনে ভোট কারচুপি, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া, বিএনপি পন্থীদের মারধরসহ আরো বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে বিএনপির পক্ষ থেকে এই নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা অনেক বড় আশা করে এই নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছিলাম। কিন্তু সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের আচরনে আমরা হতাশ। এই নির্বাচন অর্থহীন। কোন ভোট কেন্দ্রেই আমাদের পোলিং এজেন্টদেরকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পুলিশ, র্যাব সরকারের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য আমাদের এজেন্টদেরকে প্রবেশ করতে দেয়নি।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিনে ৫৮ টি কেন্দ্রের মধ্যে দুয়েকেটি ছাড়া কোথাও ভোট হয়নি। উত্তরে মোহাম্মদপুর, উত্তরাসহ সমস্থ ভোটকেন্দ্রে কেউই ভোট দিতে পারেনি। পুলিশ, র্যাব নিয়ে তারা নিজেরাই ব্যালট দিয়ে ভোট দিয়েছে। এই ধরনের নিকৃষ্ট নির্বাচন দেশবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও প্রমান হল, এদেশে গণতন্ত্র নেই, ভোটের অধিকার নেই।
দক্ষিণে মেয়র পদপ্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস বলেন, আমি সকাল সাড়ে ৭ টায় ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় শুনলাম ভিবিন্ন জায়গায় আমাদের পোলিং এজেন্টদেরকে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। যারা প্রবেশ করেছে তাদেরকে পিটিয়ে আহতকরে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোট ডাকাতি হচ্ছে। আমরা আগেও আশংকা করেছিলাম এটাই হবে।
তিনি বলেন, ঢাকা দক্ষিণের ৯৯ শতাংশ কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে। এসব জায়গায় সরকারদলীয় লোকেরা ব্যালটবাক্স ভরেছে। যারা আসল ভোটার তারা সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভোট দিতে যাননি। সবকিছু বিবেচনা করে নির্বাচন থেকে সরে এলাম, নির্বাচন বর্জন করলাম।
অন্যদিকে উত্তরে বিএনপি সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, সকাল থেকে অনেক ভোটকেন্দ্রে ঘুরেছি। বেশির ভাগ কেন্দ্রের বাইরে কোনো পুলিশ ছিল না। সরকার দলীয় লোকজনই কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করছে। কারা ঢুকবে আর কারা ঢুকবে না, তা তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। ভিবিন্ন কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদেরকে বাহির করে দিয়েছে তারা।
তাবিথ বলেন, তেজগাঁওয়ের একটি কেন্দ্রে যেতে আমাকে বাধা দেয়া হয়। মিরপুর ৬ নম্বরের একটি কেন্দ্রে পুলিশের পোশাকে যারা ছিল, তাদের ব্যাজ ছিল না। ব্যাজ কেন নেই, জানতে চাইলে পুলিশের পোশাক পরা ব্যক্তিরা কোনো উত্তর দিতে পারেনি। ওই এলাকার আরেকটি কেন্দ্রে গিয়ে প্রিসাইডিং অফিসারের সামনে একটি ব্যালটবাক্স খোলা দেখতে পাই। ব্যালটবাক্সটি কেন খোলা, জানতে চাইলে পুলিশ কোনো উত্তর দেয়নি। ওখানে ওরা আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা ক