ফিনল্যান্ডে উদযাপিত হচ্ছে ঈদুল ফিতর
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৩৮:০১,অপরাহ্ন ১০ এপ্রিল ২০২৪
ঈদ মানেই উৎসব আর আনন্দ। বছর ঘুরে আবার এসেছে ঈদুল ফিতর। এক মাস রোজা রাখার পর ফিনল্যান্ড জুড়ে মুসলমানরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে উদযাপন করছেন ঈদুল ফিতর।
মো.আবদুল্লা আল আমীন
বুধবার (১০ এপ্রিল) ৩০ রোজা পূর্ণ করে ফিনল্যান্ড জুড়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
মুসলিম উম্মাহর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের দিনটি অশেষ তাৎপর্য ও মহিমায় অনন্য। ঈদ আনন্দের আবাহনে আজ ঈদের সকালে সবাই নতুন পোশাক পরেছে। শিশুদের চোখমুখে ফুটে উঠেছে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস। তারা সবাই তো এই দিনটিরই প্রতীক্ষায় ছিল গত এক মাস। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো আজ ১০ এপ্রিল ঝলমল রোদ্দুর উঁকি ও বসন্তের প্রকৃতির রঙে রঙিন হয়ে ফিনল্যান্ডের হেলসিংকি প্রবাসী বাংলাদেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সমবেত হন ঈদের জামাতে।
ইসলামি রীতি অনুযায়ী রাজধানী হেলসিংকিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঈদের প্রধান দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় মসজিদের আয়োজনে প্রথম জামাতটি হয় সকাল ৮টা ১৫মিনিটে ভানতা কামপো স্পোর্টস সেন্টারে। এতে ইমামতি করেন মসজিদের খতিব মাওলানা বশির আহমেদ।
সকাল ৯টায় অপর জামাতটি অনুষ্ঠিত হাকানিয়েমির মেরি হাকা পাল্লোহাল্লিতে। এতে ইমামতি করেন হেলসিংকির দারুল আমান মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস খান।
ঈদের জামাত শেষে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া মোনাজাত করা হয়। হেলসিংকির সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশিরা জামাত দুটিতে অংশ নেন।
ঈদ জামাতে উল্লেখযোগ্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লিমন চৌধূরী, মো. কামরুল আলম কমল, নাজমুল হুদা, নাসির খান, মাহবুবুল আলম, ফয়েজ আহমেদ ঢালী, মহি খান, আরিফ আহমেদ, রুবেল ভূঁইয়া, কামরুল হাসান জনি, জামান সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুর রশিদ, গাজী সামসুল আলম, শামীম বেপারী, লিও খান, হামিদুল ইসলাম, বদরুল মনির, তাসাওয়াল কবির তারেক, সালেহ আহমেদ সালেক, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, শেরওয়ান আহমেদ, কামরান আহমেদ, আলুটন মইন, ফাতা মিয়া, আবদুস সহিদ, আনসার আহমেদ রাজু, আবদুল আলি, এরশাদুর রহমান, হাসান আহমেদ, আতাউর রহমান রুহেল, লিটন, মাসুদ, স্বপ্নিল, রাফাত আলী, দবির হোসেন, জিকু, মো. রকিবুল ইসলাম রুবেল, ইমন আহমেদ, নাজিরুল আলম স্বপন, সাব্বির আহমেদ লস্কর, ইমু খান, আবুল কালাম শহিদুল, মো. মহসীন, লাবীব, তাসিন, সালাউদ্দিন, লিমন চৌধূরী, আতাউর রহমান, আকরাম হোসেন প্রমুখ।
বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশিদের ঈদ উৎসবে আছে বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি খাবার। একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়া। মাতৃভূমি বাংলাদেশে টেলিফোন করে পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও খোঁজ-খবর নেওয়া ইত্যাদি। ঈদের এই আনন্দে একে অপরের বাড়িতে নিমন্ত্রণ খাওয়ার রেওয়াজ একাধারে তিন–চার দিন চলতে থাকে।
মোটকথা মাতৃভূমির মায়া আর দেশে ফেলে আসা স্বজনদের জন্য ভালোবাসা বুকে চেপে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের প্রবাসীরা সবাই পরস্পর ভাগাভাগি করছেন আনন্দ। সুযোগ মতো ফোন, ইন্টারনেটে যোগাযোগ হচ্ছে নিজ নিজ দেশে। অনেকেই অশ্রুসজল হয়ে পড়ছেন শয্যাশায়ী মা-বাবার জন্য, কেউ সন্তানের মুখ মনে করে চোখ মুছছেন। তবে সবকিছু ছাপিয়ে সবাই হাসিমুখেই উদযাপন করছেন ঈদ।