এইচএসসি পরীক্ষার সম্ভাব্য সময় জানা গেলো
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:৪৫:৫৫,অপরাহ্ন ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
এ বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী জুন মাসের শেষ দিকে আয়োজন করা হতে পারে। চলতি মাসের শেষ দিকে পরীক্ষা শুরুর বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাবে আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে জুনের শেষ সপ্তাহে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু করা হবে।
মো. আবদুল্লা আল আমীন
শিক্ষাবোর্ড সূত্র বলছে, এ বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষার ফল মার্চে প্রকাশ করা হবে। এরপর ফরম পূরণ শুরু হবে। ফরম পূরণ চলাকালীন পরীক্ষার একটি খসড়া রুটিন তৈরি করে তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।
এ বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার খসড়া রুটিন এখনও তৈরি করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। খসড়া রুটিন তৈরির পর তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে শিক্ষাবোর্ডের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। জুনের শেষ সপ্তাহ থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, এ বছর ছুটির তালিকা অনুযায়ী চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে। সেই হিসাবে আগামী ১৩ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত কলেজগুলো বন্ধ থাকার কথা রয়েছে। ঈদের ছুটি শেষে অর্থাৎ জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হতে পারে।
উল্লেখ্য, দেশে করোনা ভাইরাস মহামারির আগে সাধারণত প্রতি বছর এপ্রিল মাসে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হতো। তবে করোনার কারণে পেছানো হয় পরীক্ষা। ধীরে ধীরে পরীক্ষা স্বাভাবিক সময়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এদিকে এ বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলা ১ম পত্র দিয়ে শুরু হবে। শিক্ষা বোর্ডের রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা শেষ হবে ১২ মার্চ। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৩ মার্চ থেকে ২০ মার্চের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।
চলতি বছর ১১টি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। গত বছর পরীক্ষা দিয়েছিল ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন। সে হিসাবে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৪৭ হাজার ৯৭১ জন। এরমধ্যে ছাত্র কমেছে ২৮ হাজার ৩১৯ জন এবং ছাত্রী কমেছে ১৯ হাজার ৬৫২ জন।
এবার ২৯ হাজার ৭৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৭০০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবার পরীক্ষা কেন্দ্র কমেছে ১৮০টি এবং পরীক্ষায় অংশ নেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ৬৩টি।