হাসিনা হিটলারের মতো মানুষ হত্যা করছেন: খালেদা
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:১৭:০২,অপরাহ্ন ১২ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, হাসিনা হিটলারের মতো মানুষ হত্যা করছেন। দেশে প্রতিনিয়ত গুম, খুন চলছে। জনগণের নিরাপত্তা নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না।
বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ মাঠে ২০ দল আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়া বলেন, তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই তাদের জবাবদিহিতাও নেই। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ভোট কেন্দ্রে কুকুর বসেছিল। আর প্রিজিডিং অফিসারেরা ঘুমিয়ে ছিল।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি জনগণের দল। আমরা ক্ষমতায় থাকলে সারা দেশে সুষম উন্নয়ন করি। আমরা মনে করি জনগণ ভোট দেয় উন্নয়নের জন্য। আর আওয়ামী লীগের আমলে কোন উন্নয়ন হয় না। তারা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য দুর্নীতি করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন অবৈধ সরকারের জন্য দেশের দুরাবস্থা। অবৈধ্য সরকারের আমলে কারো জান-মালের নিরাপত্তা নেই। দেশি বিদেশী কেউ বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছে না। কেউ বিনিয়োগ করলেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগকে চাঁদা দিতে হয়। তাই দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে না।
তিনি বলেন, সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। শিক্ষা বোর্ড গুলোতে দুর্নীতির মহাউৎসব চলছে। পাসের সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। যারা গণহারে জিপিএ ৫ পাচ্ছে তারা আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরিক্ষায় ফেল করে।
সরকার একে একে সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে মন্তব্য করে চেয়ারপারসন বলেন, সরকার বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, দুদক, স্বাস্থ্যখাত, শিক্ষাখাত ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারা বিচারপতিদের অভিসংশোনের আইন পাস করে বিচারপতিদের চাপের মধ্যে রাখছে। সরকারের মত রায় না দিলে তাদের পদ হারাতে হবে।
আইনশুঙ্খলা বাহিনীকে বৈআইনী কাজ না করার আহবান জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, জনগণের টাকায় আপনাদের বেতন ভাতা হয়। আওয়ামী লীগের টাকায় বেতন ভাতা হয় না। তাই তাদের বেআইনী আদেশ মানবেননা। আপনাদের ছেলে মেয়ে ও একদিন বিপদে পড়তে পারে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জনসভা সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইসলাম খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু প্রমুখ।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলেন জেরিন খান, যুব দলের সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, জাসাসের সাধারণ সম্পাদক মনির খাঁন প্রমুখ।
২০ দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কল্যাণপার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মাদ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান, জাগপার সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী, খেলাফত মজলিসের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলানা ইসহাক, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আব্দুল মোবিন, ডিএল এর মহাসচিব সাইফুউদ্দিন মনি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ প্রমুখ।