মসজিদে নামাজে যেতে ভয় হয় লন্ডন-আমেরিকার সিলেটিদের
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪০:১৬,অপরাহ্ন ১৯ মার্চ ২০১৯
প্রবাস ডেস্ক:: একের পর এক সন্ত্রাসী হামলায় আতঙ্কে রয়েছে লন্ডন-আমেরিকায় প্রবাসী সিলেটীরা। নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলার পর নামাজে মসজিদে যেতে ভয় হয় লন্ডন আমেরিকায় সিলেটিদের। ইস্ট লন্ডনের বাসিন্দা দরাজ আলী বলেন, নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলার পর বিশেষ করে মাগরিব ও এশার নামাজে মসজিদে যেতে কিছুটা ভয় হয়।
বিগত সময়ে এ ধরনের ঘটনার পরপরই বর্ণবাদী হামলার শিকার হতে হয়েছিলো মুসলিম কমিউনিটির অনেককে। এদিকে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে অর্ধশতাধিক নিহত হওয়ায় প্রবাসীদের আতঙ্ক যেনো কাটছেই না। নিরাপত্তার মধ্যে মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করতেও এক অজানা আতঙ্কে রয়েছেন প্রবাসীরা। নিউজিল্যান্ডে হামলার দিনই পূর্ব লন্ডনে এক মুসল্লির ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছে। শুক্রবার দুর্বৃত্তদের হাতুড়ির আঘাতে এক মুসল্লির মাথা ফেটে যায়। হামলার শিকার ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন।যদিও অনেকেই বলছেন মসজিদে যাতে মানুষ না যায় সে ভয় দেখানোর জন্যই এরকম হামলা করা হচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৪৯ ব্যক্তি নিহত হওয়ার ঘটনায় শুক্রবার স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে ব্রিটেনের মুসলিমরা। মসজিদে মসজিদে ছিল পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা। এমন সতর্ক পরিস্থিতেই ওই হামলার ঘটনা ঘটল।
বহুজাতিক সংস্কৃতির দেশ ব্রিটেনে কোন ধরণের হামলা প্রত্যাশিত নয়, তবুও সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন কমিউনিটি নেতারা। নিউজিল্যান্ডে হামলার পর থেকে মসজিদগুলোয় নামাজের সময়ে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার কথা জানায় লন্ডন মুসলিম সেন্টার।
লন্ডন মুসলিম সেন্টারের মিডিয়া কর্মকর্তা বলেন, ‘মসজিদের যাতে সবাই নিরাপদে নামাজ আদায় করতে পারেন সেজন্য আমরা ভেতরে ও বাইরে নিরাপত্তা জোরদার করেছি।
উত্তর আমেরিকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের অন্যতম গন্তব্য মিশিগান। মিশিগানের শহর হ্যামট্রামিক যার এখনকার নাম বাংলা টাউন। সেখানকার সিলেটিরা এক অজানা আতঙ্কে রয়েছেন। মিশিগানের বাসিন্দা সিলেটের আব্দুল লতিফ বলেন, গত তিন চারদিন ধরে মাগরিব ও এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে ভয় করছে।