2G এবং 3G নেটওয়ার্কের মূল পার্থক্য কি?
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৩:২২,অপরাহ্ন ০৯ নভেম্বর ২০১৪
এখানে G বলতে Generation বা প্রজন্ম বুঝানো হয় । 2G : এটি দ্বিতীয় প্রজন্মের তার বিহীন নেটওয়ার্ক । এই ব্যবস্থাতে ডিজিটাল তার বিহীন মোবাইল যোগাযোগের ক্ষেত্রে 28.8 Kbps হারে তথ্য আদানপ্রদান সংক্রান্ত সেবা দেয়া সম্ভব হয় । ১৯৯১ সালে ফিনল্যান্ডের রেডিওলিনজা নামক একটি GSM অপারেটর সর্বপ্রথম ব্যাবসায়িকভাবে এবং GSM স্ট্যান্ডার্ডে 2G তারবিহীন নেটওয়ার্ক চালু করেছিল । তখনকার এধরনের অন্যান্য বিদ্যমান প্রযুক্তি অপেক্ষা 2G তিনটি দিক দিয়ে এগিয়ে ছিলো । এ বাড়তি সুবিধাগুলো হলো :
-2G প্রযুক্তিতে ফোনে নিরাপদভাবে কথাবার্তা বলার জন্য সম্পূর্ণরূপে এনক্রিপশনের ব্যাবস্থা ছিলো ।
-তরঙ্গ বর্ণালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে 2G অন্যান্য প্রযুক্তি অপেক্ষা অনেক বেশি কর্মদক্ষ ছিলো ।
-2G এর মাধ্যমে SMS এর মতো বিভিন্ন রকম তথ্যও প্রেরণ করা যেতো ।
-2G চালু হওয়ার পূর্বের বিদ্যমান মোবাইল টেলিফোন সিস্টেমকে ইতিহাস হিসেবে 1G হিসেবে উপাধি দিয়ে দেওয়া হয় । 1G নেটওয়ার্কে রেডিও সিগনাল ছিল অ্যানালগ। অন্যদিকে 2G নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত হয়েছিল ডিজিটাল পদ্ধতি । তবে তখন উভয় নেটওয়ার্কই রেডিও টাওয়ারের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সিগনাল ব্যবহার করতো ।
3G : এটি হলো তৃতীয় প্রজন্মের তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি । এই প্রযুক্তিতে ন্যূনতম 500 Kbps থেকে সর্বোচ্চ 3 Mbps হারে তথ্য আদান প্রদান করা সম্ভব । এটি আগের সকল তারবিহীন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিগুলোর চেয়ে অধিক গতিসম্পন্ন এবং উন্নত । 3G নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে 2G নেটওয়ার্কের সুবিধাসমূহের পাশাপাশি আরও কিছু সুবিধা উপভোগ করা যায় । যার মধ্যে রয়েছে দ্রুত গতির ইন্টারনেট, ভিডিও কল এবং মোবাইল টিভি ।
3.5G : এই নেটওয়ার্ক প্রযুক্তিতে 3 Mbps থেকে 14 Mbps পর্যন্ত গতি পাওয়া সম্ভব ।
4G : ২০০৮ সালের মার্চে ITU (International Telecommunication Union) এর বেতার যোগাযোগ সেক্টর 4G এর প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুসমূহের একটি রূপরেখা প্রবর্তন করে । তারা উচ্চ মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য 100 Mbps এবং নিম্ন মোবিলিটি যোগাযোগের জন্য 1 Gbps গতি প্রণয়ন করে । মোবাইল WiMax এবং LTE-এর প্রথম অবমুক্তির পর থেকে যেসব সেবা 1 Gbps এর কম গতি প্রদান করে, ITU এর নীতি অনুযায়ী সেগুলোকে 4G সেবা বলা যাবে না, যদিও সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেগুলোকে 4G সেবা বলেই বাজারজাত করে ।
এককথায়, 2G, 3G, 3.5G, 4G এর মধ্যে মূল পার্থক্য এদের গতিতে ।