প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৫৭:৫৪,অপরাহ্ন ২৪ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের গুলশান হোটেলে গ্রেনেড হামলার মামলায় সাক্ষ্য দিলেন সিসিকের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও তার ছেলে ডা. আরমান আহমদ শিপলু। তাদের সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রচীপ চন্দ্র পাল।
বুধবার (২৪ জুন) সিলেট অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ইফতেখার বিন আজিজ তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। মামলার ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে এ নিয়ে মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত।
এর আগে গত ১৭ জুন এ মামলায় পাঁচ আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তারা হলেন- সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট রাজ উদ্দিন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তপন মিত্র, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক জুবের খান, সদস্য আব্দুস সোবহান, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মখলু মিয়া এবং পান দোকানি গৌরচন্দ্র রায়।
১৫ জুন সাক্ষ্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মফুর আলী এবং মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রদীপ পুরকায়স্থ।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাসুক উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক আহমদ সাক্ষ্যগ্রহণে সহায়তা করেন।
২০০৪ সালের ৭ আগস্ট সিলেট নগরীর তালতলায় অবস্থিত হোটেল গুলশানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। শক্তিশালী এ গ্রেনেডে মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ইব্রাহীম নিহত হন।
আহত হন আওয়ামী লীগের বর্তমান কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিছবাহ উদ্দিন সিরাজসহ ১৯ নেতাকর্মী। এ ঘটনায় এখনো পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অনেকে। ভাগ্যক্রমে রক্ষা পান মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরানসহ কয়েকজন।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফজলুল হক বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন।