৫৮ জেলায় বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক চালু
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:১০:৫৯,অপরাহ্ন ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক::
দেশজুড়ে ইন্টারনেট সেবার বিস্তৃতি করতে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ইতোমধ্যে ৫৮টি জেলায় অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক চালু করেছে। ২০১৬ সাল নাগাদ ইন্টারনেট সুবিধা ১ হাজারটি ইউনিয়নে চালু করার প্রকল্প নিয়ে কাজ চলছে। শনিবার ইন্টারনেট সোসাইটি (আইসক) বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের আয়োজনে ‘ইন্টারনেট সিম্পোজিয়াম বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব তথ্য জানান।
আয়োজনের শুরুতে ইন্টারনেট সোসাইটি ও ইন্টারনেটের বর্তমান প্রেক্ষাপট উপস্থাপন করেন ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সভাপতি অধ্যাপক ড. সাব্বির আহমেদ। এর পর ‘রোল অব ইন্টারনেট গর্ভনেন্স ফর এ মোর অ্যাকসেবল ইন্টারনেট’ এবং ‘ইন্টারনেট গর্ভনেন্স টুওয়ার্ডস সেফার ইন্টারনেট ফর কিডস’ বিষয়ে আলাদা আলাদা দুটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি মোঃ রবিউল আলমের সঞ্চালনায় ‘রোল অব ইন্টারনেট গর্ভনেন্স ফর এ মোর অ্যাকসেবল ইন্টারনেট’ শীর্ষক প্রথম সেশনে আলোচক প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের জিআইইউ ইউনিটের ডেপুটি ডিরেক্টর রোকন উল হাসান, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর সেক্রেটারি জেনারেল ইমদাদুল হক, বিটিসিএল এর সহকারী বিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, ইথিকস টেলিকমিউনিকেশনস প্রাইভেট লি. এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেন ও অগমিডিয়াএক্স এর পিপল ফর পারফরম্যান্স ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম।
এ সময় আলোচকরা বলেন, গ্রাহকদের জন্য ইন্টারনেট সাশ্রয়ী খরচে সবার হাতের নাগালে পৌঁছাতে হবে। ইন্টারনেট সবার হাতের নাগালে পৌঁছাতে আমাদের দেশের কর্তৃপক্ষকে সচেতনভাবে এবং দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশে ইন্টারনেটে সুবিধা চালু করার বিষয়টি খুব বেশি পরিকল্পিতভাবে করা হয়নি জানিয়ে আলোচকরা বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট গেটওয়ে ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবসার ক্ষেত্রে করপোরেট গ্রাহকদের বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছে। সাধারন গ্রাহকদের জন্য আরও ইন্টারনেট সুবিধা দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সুরাইয়া পারভীন এর সঞ্চালনায় ‘ইন্টারনেট গর্ভনেন্স টুওয়ার্ডস সেফার ইন্টারনেট ফর কিডস’ সেশনে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউএফপি এর হেড অফ আইটি ফারজানা মিথুন, বাংলাদেশ ওমেন আইটি’র (বিডাব্লিউআইটি) চেয়ারপারসন লুনা শামসুদ্দোহা, গ্রামীণফোনের হেড অব করপোরেট রেসপনসিবিলিটি দেবাশীষ রায় ও এটুআই প্রোগ্রামের লোকাল ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট সুপর্ণা রায়।
এ সময় আলোচকরা ইন্টারনেটে শিশুদের নিরাপদ রাখতে করণীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেন। শিশুদের নিরাপদ রাখতে মা-বাবা সচেতনতা, ইন্টারনেট বিষয়ে দায়িত্বশীলতা এবং শিশুদের পাশে থাকার বিষয়ে পরামর্শ দেন বক্তারা। এ বিষয়ে যথাযথ নীতি নির্ধারণের ওপরও গুরুত্ব দেন তাঁরা। শিশুদের যাতে নিরাপদ ইন্টারনেট সুবিধা দেওয়া যায় সে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসক বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আবদুল আওয়াল প্রমুখ।