২০১৪ সালে টুইটারের তুলনায় ফেসবুকের জনপ্রিয়তা কমেছে
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৪৫:৪৬,অপরাহ্ন ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪
তথ্য-প্রযুক্তি ডেস্ক:: সম্প্রতি মার্কিন এক জরিপে বলা হয়েছে ২০১৪ সালে টুইটারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে আর টুইটারের তুলনায় ফেসবুকের জনপ্রিয়তা কমেছে অনেকটাই।
গবেষনা সংস্থা ফ্রান্ক এন মাজিদ এসোসিয়েটস ইনং এর করা জরিপে দেখা গেছে, ২০১৩ সালে তরুনদের মাঝে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা ছিল ৯৪ শতাংশ, যা ২০১৪ তে ৮৮ শতাংশে নেমে গেছে।
তরুনদের মাঝে জনপ্রিয়তার দিক থেকে টুইটার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের অন্যান্য মাধ্যম যেমন ইনষ্টাগ্রাম, বিভিন্ন মেসেজিং অ্যাপ –যেমন হোয়াটসঅ্যাপ এবং অ্যাপলের মেসেজিং অপশনের গুরুত্ব বেড়েছে।
আর দেখা গেছে আমেরিকা ও ইউরোপে টুইটারের ব্যবহার বেশি। তবে, সে তুলনায় বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহার বেশি বলে ধারণা করা হয়।
বাংলাদেশে রকমারি ডট কমের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা কাজি কাওসার এবং ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব ডেভলপমেন্ট অল্টারনেটিভের জুনিয়র লেকচারার জান্নাত আরা শিফা এ বিষয় নিয়ে আজ সকালে ঢাকা ষ্টুডিওতে এক বিশেষ আলোচনায় যোগ দিয়েছেন
মিস্টার কাওসার টুইটার ইউজার। অন্যদিকে মিস জান্নাত ফেসবুক ইউজার। কেন টুইটার পছন্দ করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণত সেলিব্রেটিরাই একটু বেশি টুইটার ব্যবহার করেন। তাদের আপডেট গুলো সহজে ও সংক্ষেপে দেয়া থাকে। তাই সহজেই সেগুলো জানা যায় বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, ফেসবুকে সব ডিটেইল লেখার অপশন রয়েছে। প্রচুর লেখতে হয় বা প্রচুর পড়ে জানতে হয়। কিন্তু টুইটারে ছোট করে লেখা থাকে। কোন কিছু জানার থাকলে সহজেই জানা যায়।
অন্যদিকে মিস জান্নাত বলেন, ফেসবুকে সবার সাথে কানেক্টেড থাকা যায়। সবার সাথে কানেক্টেড থাকা ফেসবুকেই সম্ভব।
তিনি বলেন, নিজের চিন্তা ভাবনা, ছবি, নোট সহজে শেয়ার করা যায়। অন্যের সাথে যোগাযোগ সহজ হয়।
মিস জান্নাত বলেন, টুইটার একাউন্ট আমারও আছে। কিন্তু এখানে কিছু করার নেই। শুধু কাউকে ফলো করতে হবে। আমাদের দেশে সেলিব্রিটিরা টুইটারে তেমন জনপ্রিয় নন। কিন্তু ফেসবুকে অনেক কিছু করার আছে। তাৎক্ষনিক ম্যাসেজ দেয়ার সুবিধা রয়েছে।