স্বেচ্চায় স্ত্রী বিসর্জন : প্রেমিকের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৪:০৯,অপরাহ্ন ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বিয়ের ১৮ দিনের মাথায় স্বামীর সাথে ঘর-সংসার করতে না চাইলে স্ত্রীর মন রক্ষায় উদারতার পরিচয় দিয়ে প্রেমিকের হাতে তুলে দেন বিবাহিত স্ত্রীকে। প্রেমিকের সাথে বিবাহ বন্ধনে চলা যাওয়ার পথে কালুরঘাট থেকে তুলি মা-বাবা তাদের ধরে নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে ঘটনাটি থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী তুলি পূর্বের প্রেমিক চট্টগ্রাম সিটি কলেজের অনার্স শেষবর্ষের ছাত্র সাইদুল ইসলাম জুয়েল এর সাথে স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার কথা পুলিশে কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।
বুধবার সন্ধ্যার দিকে থানায় নিয়ে আসলেও রহস্যজনক কারণে রাত ১টা পর্যন্ত বিষয়টির কোনো সুরাহা হয়নি।
সকালে প্রেমিক জুয়েলের নামে প্রেমিকার বাবা রতন চক্রবর্তী বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করে। প্রেমিকার স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার কথা স্বীকারোক্তির পরও অপহরণ মামলা দায়ের করা নিয়ে উপজেলার সর্বত্র আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট মো. সাইফুদ্দিন সিদ্দিকী বলেন, ভিকটিম যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং সে যদি স্বেচ্ছায় চলে যেতে চায়- তাহলে সেক্ষেত্রে অপহরণ মামলা হবে না।
এ ব্যাপারে বোয়ালখালী থানার পিএসআই মো. আনিসুর রহমান বলেন, মেয়ের বাবা যেহেতু মেয়ের দাবিদার এবং কিউ যদি আইনের আশ্রয় নিতে চায় আমরা তা দিতে বাধ্য। তবে মেয়ে যদি আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় স্বেচ্ছায় চলে যাওয়ার ব্যাপারে, তাহলে এটা আদালতের এখতিয়ার।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শামসুল ইসলাম জানান, ঘটনার ব্যাপারে প্রেমিক জুয়েলকে আসামি করে অপহরণ মামলা হয়েছে এবং ভিকটিমসহ প্রেমিক যুগলকে কোর্টে পাঠানো হয়েছে। এখন এটা আদালতের ব্যাপার।
উল্লেখ্য, উপজেলার পূর্ব গোমদণ্ডী দত্তপাড়া গ্রামের অরুণ চক্রবর্তীর ছেলে সুমন চক্রবর্তীর সাথে একই উপজেলার মধ্যম কধুরখীল সুরঞ্জন বণিকের বাড়ির রতন চক্রবর্তীর মেয়ে তুলি চক্রবর্তীর (১৮) সাথে সনাতনী ধর্ম মতে গত ১৮ নভেম্বর পারিবারিক সম্মতিতে বিবাহ হয়।