সেনাবাহিনী ছাড়া নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতায় সন্দিহান বিএনপি
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:০০:১৪,অপরাহ্ন ২৩ এপ্রিল ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কিনা এমন প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে বিএনপি
নেতাদের মনে। দলটির নেতারা মনে করেন, সরকার সমর্থক প্রার্থীদের সুবিধা দেওয়ার জন্য ইসি এধরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তে অবাধ
সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দেবে।
আগামী ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেনাবাহিনীর মোতায়েন বিষয়ে ইসির সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তারা ভোটের
মাঠে নয়, ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে অবস্থান করবে। নির্বাচন কমিশন এমন সিদ্ধান্তে শঙ্কিত বিএনপি।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, কেন্দ্রে কেন্দ্রে সেনা সদস্যরা না থাকলে ভোটাররা নির্বিঘ্নে ও বাধাহীন অবস্থায় ভোট কেন্দ্রে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে
ভোট দিতে পারবে না। এছাড়া ভোট কেন্দ্র দখল, কারচুপি, ভোট বাক্স ছিনতাই, ভূয়া ভোট প্রদানসহ বিরোধী জোটের প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টকে ভোট
কক্ষে প্রবেশে বাধা, তাদেরকে হুমকি ধামকি, মারধর করে ভোট কেন্দ্র ও কক্ষ থেকে বের করে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
এসব কারণে সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বিএনপির নেতৃবৃন্দরা। জাতীয় এক দৈনিক
পত্রিকায় দেয়া সাক্ষাৎকারে বিএনপি শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সেনাবাহিনী নির্বাচনী মাঠে মোতায়েন ছাড়া অনুষ্ঠেয় নির্বাচনের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতা নিয়ে
সন্দিহানের কথা জানান।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান বলেন, সরকার সমর্থক প্রার্থীদের নিবার্চনে ভরাডুবি জেনেই ইসি সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত থেকে
সরে এসেছে।
তিনি বলেন, ওদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে তারা এখন জনবিছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় নামার পর
তাদের ভোটের হিসাব নিকাশ পাল্টে গেছে। তারা দেখছে এখন তাদের দল সর্মথিত প্রার্থীরা হেরে যাবেন। এই অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য কারচুপি
করে হোক, চুরি হোক যেভাবেই হোক নিবার্চনে জেতার পরিকল্পনা করছেন।
দলের মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, আমরা একটি প্রতিযোগীতা ও প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ অর্থবহ নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত হয় এজন্য কেন্দ্রে কেন্দ্রে
সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছি। আমরা এখনো সেই একই দাবি করছি শেষ মুর্হুতেও অবাধ নিরপেক্ষ নিবার্চনের স্বার্থে নিবার্চন কমিশন কেন্দ্রে
কেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়নের সিদ্ধান্ত নেবেন।
এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ( অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেন, নিবার্চন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ
নিবার্চন নিয়ে আমরা এখন শঙ্কিত। তারপরও আমরা নির্বাচন থেকে সরে যাব না। শেষ মুর্হুত পর্যন্ত আমরা নির্বাচনী মাঠে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, নিবার্চন থেকে দুরে রাখার জন্য আমাদের দলের চেয়ারপারসনের গাড়ী বহরে তিন দফা হামলা করা হয়েছে। এমনকি নেত্রীকে
হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে লক্ষ্য করে হামলা করা হয়েছে। সরকারের মদদেই তারা এটা করেছে। তারা মনে করেছে এসব করলে বিএনপি নির্বাচন থেকে
সড়ে দাড়াবে। আর তারা ফাকা মাঠে গোল দেবে। এটা কোনো ভাবেই হতে দেওয়া হবে না।
ইসির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নিবার্চন কমিশনকে বলবো বিলন্ব না করে আপনারা কারোর নির্দেশে না চলে বরং আপনারা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে
কঠোর অবস্থান নেবেন। অবাধ সুষ্ঠু নিবার্চনের স্বার্থে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেবেন।