সেতুমন্ত্রী ‘ম্যাজিক’ দেখালেন!
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১৮:৫৭,অপরাহ্ন ০৩ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
মুল্যবান সময় বাঁচাতে, খরচ বাঁচাতে বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ আগে থেকেই হয়ত করে এমনটা, সাম্প্রতিক তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার ফলে সেই সুযোগ থাকলেও রাজনৈতিক নেতাদের এর আগে সেভাবে তেমন আগ্রহ খুব একটা দেখা যায়নি। অনেকের মতে, বরং সস্তা জনপ্রিয়তা নিজের উন্নয়নের ভাবনা অপ্রয়োজনে জাহির করার প্রবণতা আর পলিটিক্যাল পাবলিসিটির জন্য ছোট ছোট উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতেও হাজার মানুষের সমাগমে অযথাই অর্থ আর সময় ব্যায়ে হুলুস্থুল কান্ড বাধিয়ে ফেলেন বেশিরভাগ নেতাই।
এবার বুঝি অবসান ঘটলো এমন কিছুর, দেশ এগিয়ে নেবার প্রত্যয়ে বরাবরই ভিন্ন ভাবনার এই মানুষ দেখালেন ব্যাতিক্রম কিছুই। ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যাবহারে একসাথে পুরো একডজন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন ঘটিয়ে হয়ত দৃষ্টান্তই রাখলেন আগামীর জন্য।
আজ বুধবার কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে ১০টি সেতু ও বান্দরবানের ২টি সড়ক উদ্বোধন করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। আর এই ১২টি প্রকল্প উদ্বোধন করতে তিনি সময় ব্যয় করেছেন মাত্র ২ মিনিট! চট্টগ্রাম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হয়। উদ্ভোধনের পর সবার মুখে একটাই কথা ছিলো এই না হল ডিজিটাল বাংলাদশের ডিজিটাল মন্ত্রী।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ হোটেল ভারতীয় দূতাবাস ও চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে গিয়ে একথা জানান মন্ত্রী। সেমিনার চলাকালীন মন্ত্রী বেলা ১২টার দিকে মঞ্চ ছেড়ে আগ্রাবাদ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সম্মেলন কক্ষ থেকে এসব সড়ক ও সেতু উদ্বোধন করেন। পরে আধাঘণ্টার মধ্যে তিনি আবার সেমিনারে উপস্থিত হন।
এ প্রসঙ্গে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে ওয়বায়দুল কাদের বলেন, ‘উদ্বোধন আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। কাজ শেষ হওয়ার পরও শুধুমাত্র উদ্বোধনের জন্য মানুষ এটা ব্যবহার করতে পারবে না, এটা ঠিক নয়। আমি কাজে বিশ্বাসী। যদি আজকে আমি সেখানে এসব প্রকল্প উদ্বোধনের জন্য যেতাম তাহলে আমার জন্য তোরণ তৈরি হতো। ফুলের মালা নিয়ে শত শত নেতাকর্মী হাজির হতো। ব্যানার পোস্টারে ভরে যেতো। হোন্ডা মিছিল হতো। এসব আমি পছন্দ করি না। সেজন্য চট্টগ্রাম থেকে বসেই ১২টি প্রকল্প উদ্বোধন করেছি মাত্র ২ মিনিটে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু যে উদ্দেশ্যে এসব সেতু ও সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে তা হচ্ছে কি না, মানুষ চলাচল করতে পারছে কি না, সেটি নিশ্চিত করার জন্য কেউ আগ্রহী নয়। সব স্বার্থের পেছনে ছুটতে ব্যস্ত।’
কক্সবাজারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের মধ্যে চট্টগ্রাম কক্সবাজারকে ঘিরে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। আর কিছু উন্নয়ন কাজ শিগগিরই দৃশ্যমান হবে। এ অর্থবছরের মধ্যেই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভওয়ের ৬৮ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন হবে, বাকি ২৪ কিলোমিটার কাজও শিগগিরই সম্পন্ন হবে। বিগত ২৪ বছর ধরে এ সড়কের কাজ ঝুলেছিল, এখন সেই কাজ আমি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় এক বছরেই শেষ করেছি। চীনের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের থেকে কর্ণফুলী নদীর টানেল হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত একপিট মেরিন ড্রাইভ নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে।’