‘লজ্জা পুরস্কার’ দেবে আইসিটি মন্ত্রণালয়!
প্রকাশিত হয়েছে : ১:৩৪:০৬,অপরাহ্ন ২৯ জানুয়ারি ২০১৫
তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক::
ভালো করলে পুরস্কারের রেওয়াজ আছে, কিন্তু খারাপ করলে? এবার সে পুরস্কারও দিতে যাচ্ছে সরকার। দেশে শিগগিরই চালু হচ্ছে ‘লজ্জা পুরস্কার’। ২০১৬ সাল থেকে এই ‘লজ্জা’ পুরস্কার চালু হচ্ছে বলে জানা গেছে। সাতটি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হতে পারে। ক্যাটাগরিগুলো হলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, থানা, সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভা। লজ্জা পুরস্কার দেওয়ার সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামের আগে থাকবে ‘ওয়র্স্ট’ শব্দটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য থেকে সংবাদ মাধ্যমটি বলছে, জনগণকে সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নজর রাখা হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে কত দ্রুত নির্ভুল সেবা দিতে পারছে। যেসব প্রতিষ্ঠান তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার না করে ধীরগতিতে সেবাদান করবে এবং জনসাধারণকে ভোগান্তিতে ফেলবে সেগুলোর তালিকা করে বছর শেষে লজ্জাজনক এ পুরস্কার দেওয়ার জন্য বিবেচনায় নেওয়া হবে।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এ পুরস্কার চালু করতে যাচ্ছে। পুরস্কারের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়র্স্ট অ্যাওয়ার্ড অব আইটি ইউসেজ ইন পাবলিক সার্ভিসেস।’ আগামী মাসে রাজধানীতে অনুষ্ঠিতব্য ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’-এ এই পুরস্কারের ঘোষণা আসতে পারে। আগামী বছর পুরস্কারের জন্য যোগ্য ঘোষিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে তা তুলে দেওয়া হবে। জানা গেছে, প্রশাসনে কাজের গতি আনা এবং তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতেই এই উদ্যোগ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। এ পুরস্কার ওই প্রক্রিয়ারই একটি অংশ। ভালো কাজের জন্য পুরস্কার দেওয়া গেলে খারাপ কাজের জন্যেও ‘পুরস্কার’ দেওয়া যেতে পারে। তাহলে সংশ্লিষ্টরা লোকলজ্জার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলেও নিজেদের শুধরে নিতে পারবেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের ২৫ হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে মিডিয়া প্যাড (ট্যাব) দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে কর্মকর্তাদের ট্যাব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যাতে করে সব সময় তারা সংযুক্ত (কানেক্টেড) থাকেন। যে কোনও সময় যে কোনও জায়গায় থেকে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে পারেন। এ জন্য ই-সিগনেচার’ও প্রবর্তন করা হচ্ছে।
আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের জানান, দেশের ১৮ হাজার ১৩২টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায়ত আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর, বিভাগীয় অফিস, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ এবং উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়। এসব কার্যালয়ে কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ইন্টারনেট সংযোগ, মডেমসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দেওয়া হয়েছে। এসব ব্যবহার করে দ্রুত জনসাধারণকে সেবা দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যারা তথ্যপ্রযুক্তির উপযুক্ত এবং সঠিক ব্যবহার করবে না, সেবা দিতে সময়ক্ষেপন করবে এবং জনসাধারণের ভোগান্তি কমানোর পরিবর্তে বাড়াবে তাদের ভাগ্যে জুটবে এই ‘লজ্জা পুরস্কার’।