রোজাদারের প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০০:০৬,অপরাহ্ন ২৩ জুন ২০১৫
নিউজ ডেস্ক::
এবার গরমের দিনে এসেছে পবিত্র রমজান মাস। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে পালন করছেন রোজা। রোজা পালনের সময় সব রকম পানাহার থেকে বিরত থাকার কারণে অনেকে আবার অসুস্থ হয়ে যান। ভুল খাবার নির্বাচন বা অত্যাবশ্যক খাবারের অনুপস্থিতি আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। এমন সময়ে সুস্থ থাকার জন্য একান্ত প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভ্যাস।
গরম মানেই প্রচুর পানি তৃষ্ণা, ঘাম, খাবারে অরুচি আর ক্লান্তি। কী খাবেন, কেমন পোশাকে আরাম পাবেন, কী করলে এই গরমেও সুস্থ থাকবেন তা জেনে নেয়া প্রয়োজন।
প্রাপ্ত বয়ষ্কদের জন্য প্রতিদিন অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করা উচিৎ। তৈলাক্ত ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার, রাস্তার খোলা খাবার বা পানীয় এড়িয়ে চলা ভালো। এসব খাবারে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ইফতারে অবশ্যই ভাজা-পোড়া খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। শরীর ঠাণ্ডাকারী খাবার, ফলমূল, শরবত বা চিড়া, মুড়ি, গুঁড়, খেজুর থাকা ভালো। শরীর ঠাণ্ডা রাখতে সেহরি এবং ইফতারিতে খেতে পারেন ইসবগুল, অ্যালোভেরা, বেল, মিছরি, তোকমারির শরবত। রোজা রাখা অবস্থায় পানিশূন্যতা রোধ করে আপনাকে তরতাজা রাখতে এসব শরবতের কোনো তুলনা হয় না। প্রতিদিন ইফতারিতে রাখতে পারেন একটু আদা কুচি, ভিজিয়ে রাখা কাঁচা ছোলা আর আখের গুঁড়। ইফতারের শুরুতে এগুলো খেলে খাবার রুচি ঠিক থাকার সঙ্গে আপনার শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। গ্যাসের সমস্যা ও বমি বমি ভাব দূর করবে।
গরমকাল মানেই ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসের বংশবিস্তারের আশঙ্কা। খাবার বা পানিবাহিত অসুখ টাইফয়েড, জন্ডিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। সে জন্য ফুটপাতের শরবত, খোলা খাবার বা কাটা ফল খাওয়া পরিহার করা উচিৎ। একসঙ্গে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে বার বার অল্প পরিমাণে হালকা খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
মৌসুমী সবজি- লাউ, পেঁপে, পোটল, ঝিঙে ও রসালো ফল তরমুজ, আম, জাম, জামরুল ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখা ভালো। সেই সঙ্গে ডাবের পানি, টাটকা ফলের রস, শসা বেশি করে খাওয়া দরকার। টক দই আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গরমের দিনে ইফতারিতে নানাভাবে টক দই খাওয়া উপকারী।
এমন দিনে বাইরে বের হওয়ার সময় সঙ্গে ছাতা, সানগ্লাস রাখতে ভুলবেন না। ঘামের কারণে ঝরে পড়া দেহের প্রয়োজনীয় লবণ পানির অভাব মেটাতে ইফতারিতে স্যালাইন খেতে পারেন। অনেক সময় বার বার পানি খেয়েও তৃষ্ণা মেটে না, স্যালাইন খেলে সে সমস্যা দূর হবে। গরমের দিনেও সহজ হোক আপনার রোজা।