রাজশাহীতে ক্লিনিক পরিচালকের কারাদণ্ড
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪২:৪৪,অপরাহ্ন ০৬ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক::
চিকিৎসার নামে প্রতারণা করায় রাজশাহীতে এশিয়ান ক্লিনিকের পরিচালক রিয়াজ তালুকদারকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
একই সঙ্গে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর সপুরা এলাকার ওই ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে এ দণ্ড দেওয়া হয়। এসময় ওই ক্লিনিকটিকে সিলগালা করে দেওয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মতুর্জা আল মঈদ এ আদেশ দেন।
তিনি জানান, চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কোনো অনুমতি নেই ওই ক্লিনিকের। এমনকি প্রস্তাবনার কাগজপত্রও নেই।
ভবিষ্যতে যাতে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করতে না পারে সে জন্য ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নূর মোহাম্মদ জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) ও হাসপাতাল থেকে দালালের মাধ্যমে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করানোর অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৪ ডিসেম্বর) রামেক হাসপাতাল থেকে চার বছরের শিশু তৌহিদকে কম টাকায় অপারেশন করার কথা বলে এই ক্লিনিকে নিয়ে যায় মাহফুজ নামে এক দালাল।
কম টাকায় ছেলের চিকিৎসা হবে ভেবে তৌহিদের বাবা নওগাঁর পত্নীতলার মমতাজ উদ্দিনও রাজি হন।
ওসি জানান, তৌহিদ খেলাচ্ছলে গলায় দুই টাকার কয়েন আটকিয়ে ফেলে। মাহফুজের প্ররোচনায় এশিয়ান ক্লিনিকে গেলে শুক্রবার দুপুরে অপারেশন করা হয়।
কিন্তু অপারেশনের পর রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হতে থাকে। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে শনিবার ফের উন্নত চিকিৎসার জন্য তৌহিদকে নিয়ে রামেক হাসপাতালে ছুটে যান অভিভাবকরা।
ওসি খন্দকার নূর মোহাম্মদ বলেন, এরইমধ্যে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীর অভিভাবকদের কাছ থেকে সাত হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এরপর বিষয়টি থানায় জানানো হলে ওই ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে পরিচালক রিয়াজ তালুকদারকে আটক করা হয়।
এরপর বিকেলে এশিয়ান ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রিয়াজকে এ সাজা দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।