রহিঙ্গা ক্যাম্প স্থান্তরের উদ্যেগে ক্ষোভে ফুসছে নোয়াখালী
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৩০:৫৭,অপরাহ্ন ২০ নভেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: কক্সবাজার থেকে রহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প সরিয়ে নোয়াখালীর সুবর্নচরে স্থান্তর ও পূর্নবাসনের উদ্যেগে জেলার সর্বমহলে ক্ষোভের সৃষ্ঠি হয়েছে। এ জেলার সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিভিন্ন সংগঠন থেকে এ উদ্যেগের প্রতিবাদ, নিন্দা ও তা বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।
এ জেলার বাসিন্দারা মনে করছেন, সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য কক্সাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এ জেলায় স্থানান্তর করা হলে সামাজিক ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটবে। শান্তির নোয়াখালী জেলা অশান্ত হয়ে পড়বে। এ জেলায় মাদক, অস্ত্র ও চোরা কারবারীর স্বর্গরাজ্যে পরিণত হবে। চরাঞ্চলে বিগত বছর গুলোতে বন ও জলদস্যুদের উৎপাতে স্থানীয় অধিবাসীরা অতিষ্ট ছিল। সর্বদলীয়ভাবে দস্যুদের দমন করার পর চরাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটা উন্নতি হয়েছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গাদের পুর্নবাসন করা হলে ব্যাপক দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি হবে।
জেলা সদরের সাবেক এমপি ফজলে এলাহী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিট কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলন, জেলা সর্বদলীয় নাগরিক কমিটি আহবায়ক মিয়া মো. শাহাজাহান, জেলা ক্ষেত মজুর ইউনিয়ন সমিতির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমদাদ হোসেন কৈশোর, তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলার আহবায়ক আনম জাহের উদ্দিন ও জেলা বাসদের সদস্য সচিব দলিলুর রহমান দুলালসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সরকারের উধ্বর্ত্বন মহলের নেয়া এ উদ্যেগের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে জেলাবাসী তুমুল আন্দোলন গড়ে তুলবে।
তারা আরোও জানান, নোয়াখালীর উপকূলীয় চরাঞ্চলে লক্ষাধিক ভূমিহীন পরিবার সরকারি খাস ভূমিতে বসবাস করছে। তাদেরকে এখনও পুর্নবাসন না করে উল্টো রোহিঙ্গাদের পুর্নবাসনের এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারবে না ভূমিহীনরাও। এমনকি সেনাবাহিনীকে হাতিয়ার চরে ভূমি বরাদ্ধ দেয়ায় ভূমিহীনদের মাঝে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। তার মধ্যে এখন রহিঙ্গাদের পুর্নবাসন একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত।
এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এ উপকূলীয় চরাঞ্চলে ব্যাপক বন নিধন, সরকারি সম্পত্তি, মৎস্য ও শস্য ভান্ডারের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিবে এবং অর্থনৈতিক জোন বাস্তবায়নের বাধা গ্রস্ত হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে, জেলা প্রশাসক বদরে মুনির ফেরদৌস বলেন, রহিঙ্গাদের পূর্নবাসনের জন্য ৫ হাজার একর খাস ভূমি বরাদ্ধের জন্য উর্ধ্বত্বন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেয়েছি। তবে ভূমি বরাদ্ধ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।