যুক্তরাষ্ট্রের প্রকাশিত প্রতিবেদন একপেশে: তথ্যমন্ত্রী
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:৩৪:২২,অপরাহ্ন ১৯ মার্চ ২০১৯
নিউজ ডেস্ক:: বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রকাশিত প্রতিবেদন একপেশে উল্লেখ করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার।আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছিল। ওই সংস্থাগুলো বিভিন্ন সময়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দাবি করা হয়, নির্বাচন একপেশে হয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়নি।ওই প্রতিবেদনে, নির্বাচনী অনিয়ম ছাড়াও গত বছর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, উদ্দেশ্যমূলক আটক, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা, রাজনৈতিক কর্মীদের বন্দী, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছ তা একপেশে। এটি মূলত কিছু সংস্থার পাঠানো রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে বলে আমরা মনে করি। রিপোর্টে সেই সমস্ত সংস্থার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করছি।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও প্রচারণায় ছিল না। অনেক জায়গায় পোস্টার লাগায়নি, প্রার্থীদেরও দেখা যায়নি। বিএনপি প্রথম দিকে ৩০০ আসনে ৮০০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিল যেটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন দেওয়ার ইতিহাসে রেকর্ড এবং এটি করতে গিয়ে যে মনোনয়ন বাণিজ্যের কথা জেনেছি-শুনেছি এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনিভেপ্রেত, এ বিষয়গুলো এ রিপোর্টের মধ্যে আসেনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশটির ২৩ লাখ লোক কারাগারে থাকে। যেটি জনসংখ্যার আনুপাতিক হারের ভিত্তিতে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। সাদা মানুষের তুলনায় কালো মানুষের কারাগারে থাকার হার ছয় গুণ। পুলিশের গুলিতে সাদা মানুষের তুলনায় কালো মানুষের হার আড়াই গুণ। সহজেই অনুমেয় সেখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন!
নির্বাচনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ রিপোর্ট কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন মন্ত্রী।