মশা নিধনে কেমিক্যাল প্রয়োগ হলেও সুফল পাচ্ছে না চট্টগ্রাম নগরবাসী
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:০৫:৪৪,অপরাহ্ন ০২ ডিসেম্বর ২০১৪
নিউজ ডেস্ক:: মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে নগরবাসী। মশা নিধনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) বিভিন্ন কেমিক্যাল প্রয়োগ করলেও তাতে কাঙ্খিত ফল হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। তবে চসিক বলছে নগরবাসী সচেতন হলে এ সমস্যা অনেকটাই কমবে।
টেরিবাজার এলাকার গৃহিনী দিলরুবা খানম বলেন, ‘সন্ধ্যা যখন হয়, তখনই বন্ধ করে দিতে হয় ঘরের দরজা জানালা। তারপরও রেহাই নেয় মশার কামড় থেকে। সন্ধ্যার পর ছেলে মেয়েদের মশারি টাঙিয়ে পড়াশুনা করতে হয়।
শুধুই দিলরুবার পরিবার নয়, মশার কামড়ে অতিষ্ঠ এখন পুরো শহর। নগরবাসীর অভিযোগ, মশার উৎপাত থামাতে চসিকের তেমন কোনো কার্যকরী প্রদক্ষেপ চোখে পড়ছে না। নগরীর ৪১ ওর্য়াডে মশা নিধনে ‘কালোতেল’ আর ‘লাইট ডিজেল স্প্রের’ প্রয়োগের মধ্যে সীমাবদ্ধ চসিক। তবে মাঝেমধ্যে ভিকন ও অ্যাডটিসায়েড নামের ওষুধ ব্যবহার করলেও তেমন কোনো সুফল আসেনি । ফলে মশার উৎপাতে নগরবাসীর স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনাও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত বর্ষা মৌসুমের পরপরই (নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) মশার উৎপাত বাড়ে। মশক নিধনের জন্য চসিকের বাজেট রয়েছে ২ কোটি টাকা। মশক নিধনের কার্যক্রম হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে চসিক মাসে ৪০০ লিটার কালোতেল ও ৪০০ লিটার লাইট ডিজেল স্প্রে ব্যবহার করে। কিন্তু তারপরও নগরীর অধিকাংশ জলাশয় এবং নর্দমাগুলো ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ থাকে। তাই এসব উৎপত্তিস্থলে তরল অ্যাডটিসায়েড ওষুধ ছিটিয়ে মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করা হয়।
তবে চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী সিটিজি নিউজকে জানান, আমরা নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে কালোতেল ও লাইট ডিজেল স্প্রে এর বাইরে বছরে ২০ থেকে ৩০ হাজার লিটার ভিকন ও ৩০ হাজার লিটার অ্যাডটিসায়েড ব্যবহার করা হয়। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ১২০ জন কর্মী প্রতিদিন এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
আর ভিন্ন কথা বললেন নগরীর ২০টি ওর্য়াডের দায়িত্বে থাকা চসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কানু কান্তি নাথ। তিনি বলেন, আমরা শুধুই প্রতিটি ওয়ার্ডের ৪০০ লিটার করে কালোতেল প্রয়োগ করি। এছাড়া পূর্ণাঙ্গ মশার প্রজনন ধ্বংস করার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে মাসে ৪০০ লিটার লাইট ডিজেল স্প্রে প্রয়োগ করি।
তিনি আরও বলেন, ভিকন ও অ্যাডটিসায়েড ওষুধ স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় এগুলো কম ব্যবহার করা হয়। নালা, ডাস্টবিন, জলাশয়, ডোবাতে আমাদের কার্যক্রম চলছে। জনগণ যদি সচেতন হয় তাহলে এ সমস্যা কমানো যাবে ।