ভুলবশত জীবন্ত কবর দেয়ার ভয়ঙ্কর কাহিনী!
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৯:৩৬,অপরাহ্ন ০৬ জানুয়ারি ২০১৫
বিচিত্র ডেস্ক: জন্ম গ্রহণ যখন করেছি একদিন না একদিন মৃত্যুর স্বাদ আমাদের সকলকেই গ্রহন করতে হবে। মৃত্যুর কষ্ট কি যন্ত্রণাদায়ক তা জীবিত কোনো মানুষের পক্ষে কখনোই বোঝা সম্ভব নয়। সাধারন এবং স্বাভাবিক মৃত্যু সবারই কাম্য। কিন্তু তারপরেও অস্বাভাবিক মৃত্যু বরণ করতে হয় অনেককেই।
মৃত্যু পরবর্তী কাজ হচ্ছে মৃতদেহটিকে কবর দেয়া। কিন্তু ভুলবশত জীবিত মানুষের কবর দেয়ার নজির রয়েছে আজব এ পৃথীবিতে। তেমনই কিছু জীবিত মানুষের কবরের সত্যিকার কাহিনী নিয়ে আমাদের আজকের এই ফিচারটি।
ম্যাডাম ববিন, ১৯০১, আফ্রিকা :
ইতিহাসে ম্যাডাম ববিনের মৃত্যুর মত ভয়ানক মৃত্যু কারো হয়েছে কিনা সন্দেহ। ইয়েলো ফিভারে আক্রান্ত ববিন ছিলেন অন্তঃসত্বা। হঠাৎ ভীষন অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় তাকে মৃত ঘোষনা করে কবর দেয়া হয়। এক নার্সের কথায় ববিন এর বাবা তার কবর খোঁড়ার ব্যবস্থা করে। কিন্তু পরবর্তীতে যা দেখা যায় তা বর্ণনাতীত। ববিনের কবরের মধ্যেই বাচ্চা হয়েছে এবং দুজনেই ওখানেই মৃত্যু বরণ করেছে।
ভার্র্জিনিয়া ম্যাকডোনাল্ড ১৮৫১, নিউইয়র্ক:
অসুস্থ হয়ে মারা যাবার পর এনাকে কবর দেয়া হয়। কিন্তু তার মা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে ভার্র্জিনিয়ার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তার কথা কেউ বিশ্বাস করছিলেন না। তিনি অন্তত একবার কবর খোঁড়ার জন্য অনুরোধ করেন সবাইকে। অনেক অনুরোধের পরে কবর খোঁড়া হয়। মায়ের বিশ্বাসই ঠিক হোলো! কবরে দেখা গেলো ভার্জিনিয়া কবরে তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে এবং নিজের হাত কামড়ে মাংস আলাদা করে ফেলেছে। কবরের ভেতরে এভাবেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় তার।
ম্যাডাম ব্লানডেন ১৮৯৬, ইংল্যান্ড:
মৃত্যুর পর তাকে একটা স্কুলের পাশে সমাহিত করা হয়। পরদিন স্কুলে ছাত্ররা আসলে কবরের ভেতর থেকে গোঙানীর শব্দ শুনতে পায়। সাথে সাথে কবর খুঁড়ে ব্লানডেনকে বের করা হয় এবং সে তখনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। কবরের ভেতরে মৃত্যু যন্ত্রনায় সে নিজের হাত ও মুখ আঁচড়ে শেষ করে ফেলেছিলো।
কলিনস ১৮৮৬, কানাডা:
এ মেয়েটাকে কবর দেয়ার কিছুদিন পরে মৃতদেহ অন্য জায়গায় সরানোর দরকার হয়। কিন্তু কবর খুঁড়ে দেখা গেলো কলিনস মৃত্যু যন্ত্রনায় তার কাপড় ছিঁড়ে ফেলেছে, তার হাঁটু থুতনীর কাছে এনে রেখেছে এবং হাত দুটো মাথার পেছনে বাঁকা করে আটকে ফেলেছে।
জেনকিনস ১৮৮৫, নর্থ ক্যারোলাইনা:
অসুস্হ হয়ে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায় তার এবং পুরো শরীর শক্ত হয়ে যাওয়ায় সবাই ভেবেছিলো বোধহয় মারা গেছে জেনকিনস। এরপর তাকে কবর দেয়া হয়। কোনো একটা গুজবের কারণে তার কফিন খোঁড়া হয়। লাশ বের করে দেখা যায় জেনকিনস এর হাতে তার ছেঁড়া চুল, তার নখে ও মুখে রক্তের দাগ। আর কফিনের গায়ে নখের আঁচড়। সম্ভবত মৃত্যু যন্ত্রনায় সে নখ দিয়ে কফিনের গায়ে আঁচড় কেটে তা খুলতে চেয়েছিলো।
এমন মৃত্যু আসলে খুবই দুঃখজনক এবং কষ্টের।