বুঝেশুনে দাড়ি কাটুন
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:২৩:৫০,অপরাহ্ন ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫
লাইফস্টাইল ডেস্ক :: “গোঁফকে বলে তোমার আমার – গোঁফ কি কারো কেনা ?/ গোঁফের আমি গোঁফের তুমি, তাই দিয়ে যায় চেনা।” তা সে দাড়ি-গোঁফ রাখুন কি না রাখুন। মুখশ্রী সুন্দর রাখতে নিয়ম করে শেভ করাই লাগে। গোঁফ দিয়ে চেনা যাক বা না যাক দাড়ি-গোঁফের যত্ন না নিলে বদলে যেতে পারে মুখমণ্ডলের ভৌগলিক সীমারেখা। পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি লুকের জন্য তাই নিয়মিত কামিয়ে রাখতে হয় দাড়ি-গোঁফ। ত্বকের ধরণ অনুযায়ি নানা কারনে শেভ করার পর নানা জটিলতায় ভুগতে হয়। তাই একটু সাবধান হতেই হয় শেভ করতে গেলে।
– শেভ করার আগে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। ভাল করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। এতে ময়লা দূর হয়ে লোমকূপগুলো উন্মুক্ত হয় ও মরা কোষগুলো দূর হয়।
– মুখে ভালোভাবে শেভিং ক্রিম, সোপ, জেল অথবা শেভিং ফোম লাগিয়ে নিন। কিছু সময় ভালোভাবে ফেনা হলে তারপর আস্তে আস্তে রেজর চালান।
– দ্বিতীয় বার ক্রিম বা ফোম লাগানোর আগে বা পরে শেভিং অয়েল লাগিয়ে নিতে পারেন।
– দাড়ি-গোঁফের অনুকূলে সহনশীল গতিতে রেজার টানবেন। গাল ও থুতনির কাছে ওপর থেকে নিচের দিকে এবং গলার দিকে একটু সতর্কতার সঙ্গে রেজর টানবেন।
– দাড়ির উল্টোদিকে রেজর না চালানোই ভাল।
– ত্বক শুকালে আফটার শেভ লোশন ব্যবহার করুন।
– ভরাট গালে ব্লেড সমান জায়গায় সহজে ঘোরাফেরা করে তাই কাটার আশঙ্কাও বেশি থাকে। আবার যাদের গালের চোয়াল কিছুটা ভাঙা তাদেরও রেজর টানা উচিত একটু ধীরে।
– সিঙ্গেল ব্লেড নয় শেভিংয়ের ক্ষেত্রে ট্রিপল ব্লেড ব্যবহার করা ভালো এবং তুলনামূলক নিরাপদ।
– শেভিংয়ের পর মুখে অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম লাগান। অ্যান্টিসেপটিক ধুয়ে মুখে আফটার শেভ লোশন দিন।
– ঘুম থেকে উঠেই শেভ করা উচিত নয়। কমপক্ষে এক ঘণ্টাপর শেভ করা উচিত।
সেলুনে শেভ করতে খেয়াল রাখতে হবে পরিচ্ছন্নতা মানা হচ্ছে কি না। প্রতিবার নতুন ব্লেড অথবা ব্যবহৃত ক্ষুরটি আগে শেভ করার পরে ধোয়া হয়েছে কীনা জেনে নিন।