বিশ্বের সবচাইতে রহস্যময় স্থানসমূহ
প্রকাশিত হয়েছে : ২:২৫:৩৯,অপরাহ্ন ০৬ মে ২০১৫
আমরা প্রাচীন দুনিয়া সম্পর্কে এখোনো অনেক কিছুই জানিনা। প্রাচীন এমন অনেক স্থাপনা রয়েছে যার ব্যাখ্য বা রহস্য আজও উম্মোচিত হয়নি। প্রত্নতাত্ত্বিকগণ এগুলো আবিষ্কারের থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিন হয়তো এ রহস্য গুলোর সত্যতা উম্মোচন হবে। চলুন আজ বিশ্বের সবচেয়ে রহস্যময় স্থান ৪টি স্থান সম্পর্কে জেনে নেই:
স্টোনহেঞ্জ (Stonehenge):
বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ অব্যাখ্যাত এক রহস্য স্টোনহেঞ্জ। আনুমানিক ৫০০০ বছরেরও অধিক বয়সী এই স্থাপনাটি সম্ভবত ব্রিটেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার মধ্যে অন্যতম । স্টোনহেঞ্জ নিওলিথিক এবং ব্রোঞ্জ যুগের একটি স্তম্ভ যা মানমন্দির হিসেবে ব্যবহৃত হতো বলে ধারণা করা হয়। এটি ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারের অ্যামাসবারির নিকটে অবস্থিত। স্টোনহেঞ্জ এর সবচাইতে বড় রহস্য যে এটি কিভাবে বানানো হল। কিন্তু আজ পর্যন্ত এর কোনো সঠিক রহস্য উম্মোচিত হয়নি।
ইস্টার দ্বীপ (Easter island):
আধুনিক সময়েও ইস্টার দ্বীপের অদ্ভুত ভাস্কর্যের রহস্য ভেদ করা সম্ভব হয়নি। প্রশান্ত মহাসাগরের নির্জন এ দ্বীপটিতে রয়েছে অনেকগুলো ভাস্কর্য। জনবিরল এই দ্বীপে নীরবে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য পাথরে তৈরি ভাস্কর্য। দ্বীপের চারদিকেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দানবাকৃতির মূর্তি। কে তৈরি করল মূর্তিগুলো? কেউ জানে না। এই জনবিরল দ্বীপে কেনইবা এসব ভাস্কর্য তৈরি করা হলো, সেটাও অজানা। ইস্টার দ্বীপের মূর্তিগুলো সবই তৈরি হয়েছে বিশাল পাথর কেটে। কিন্তু গবেষকদের প্রশ্ন- এই দ্বীপবাসীরা সেই কৌশল শিখল কিভাবে? পাথরগুলোই তারা বয়ে আনল কিভাবে এবং কোথা থেকে? এসবের উত্তর এখনো খুঁজছে বিশ্লেষকরা।
নাজকা লাইনস (Nazca Lines):
নাজকা লাইনস রাজধানী লিমা থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণে নাজকা এবং পালমা শহরের মাঝামাঝি স্থানে প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এ অসাধারণ শিল্পকর্ম। এখানে আঁকা চিহ্নগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্যামিতিক নকশা, হামিংবার্ড, মাকড়সা, হাঙ্গর আর নানা সরীসৃপের রেখাচিত্র। চিত্রগুলো বিমান থেকে বা স্যাটেলাইটে স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে। প্রায় ১৮০টির মতো নকশা রয়েছে এখানে। শ’খানেক জ্যামিতিক চিত্র বাদে বাকিগুলো পশু-পাখিদের প্রতিলিপি। ১৯৩০-এর দশকে সর্বপ্রথম বিমানযোগে ওই মরুভূমি পার হওয়ার সময় এ লাইনগুলো আবিষ্কৃত হয়। এরপর থেকে এ নিয়ে চিন্তা ও গবেষণার শেষ নেই। কিন্তু এটা কে কীভাবে করেছে আজ পর্যন্ত তা আবিষ্কৃত হয়নি।
টিওটিহুয়াকান (Teotihuacan):
টিওটিহুয়াকান ও সেখানকার বাসিন্দা সম্পর্কে পৃথিবীর খুব সামান্য মানুষই পরিচিত। মেক্সিকো সিটি হতে ৩০ মাইলা উত্তরপূর্বে, ১৪০০ বছর আগের পশ্চিম গোলার্ধে সবচেয়ে বড় শহর। এই শহরের স্থপতিরা আজও অজানা রহস্য। প্রাক-কলাম্বিয়ান আমেরিকার বেশ কিছু বৃ্হত্তম পিরামিড এখানে অবস্থিত। টিওটিহুয়াকান য্যাপোটেক ও মায়া সহ বিভিন্ন সাম্রাজ্যের প্রেরণা হয়েছিলো। উনআশি শতাব্দীর ভিসুভিয়াস পর্বতের অগ্নুৎপাতে ধ্বংস হয়ে যাবার পূর্ব পর্যন্ত পম্পেই নগরী শিল্প সংস্কৃতির প্রাণকেন্দ্র এবং রোমান উচ্চবিত্তের অবকাশ যাপনের গন্তব্য ছিলো। আগ্নেয়গিরি ধ্বংসলীলার পর সেখানে শুধু প্রাকৃতিক ভস্মে মোড়া শহরের মামীটা পড়ে আছে।
-সূত্র: হাফিংটন পোস্ট।